যৌনসন্ত্রাস রোধে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা
যৌনসন্ত্রাস রোধ করতে সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি এ বিষয়ে আইন করে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করে বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে যৌনসন্ত্রাস বিরোধী গণ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটি।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে যৌনসন্ত্রাস বিরোধী গণ কনভেনশনে এ আহ্বান জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন এলাকার যৌন হয়রানীর শিকার নারীরা উপস্থিত হয়ে তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। সভাপতিত্ব করেন ডা. লেলিন চৌধুরী। বক্তব্য দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জিনাত আরা, নারীনেত্রী খুশী কবির, রোকেয়া কবির, সাংবাদিক নাসিমুন আরা মিনু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাসিম আখতার হোসাইন, খেলাঘরের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারপার্সন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহমুদ সেলিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিচারপতি জিনাত আরা বলেন, নারী নির্যাতন বন্ধে আগে নারীদেরই এগিয়ে আসতে হবে। পুত্র ও কন্যা সন্তানকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। স্কুলে মেয়েদের আত্মরক্ষার নিয়ম শিখাতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে হবে। নারী ধর্ষণ, নিপীড়ন, নির্যাতনের বিষয়ে আইন ও শাস্তি সম্পর্কে সবাইকে জানাতে হবে।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সমাজে পুরুষদের দ্বারা নারীরা যৌন হয়রানী হওয়ার পরিমাণ বেড়ে গেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরা এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে পারেন না। কোনো না কোনো প্রভাবশালীর কারণে তাঁরা নিষ্পেষিত হয়ে স্বাভাবিক বিচার পর্যন্ত পায় না।
তাই এ ক্ষেত্র জনসচেতনতা বাড়াতে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
কনভেনশনের দ্বিতীয় পর্বে সেমিনারে ‘যৌনসন্ত্রাস : সংকট ও উত্তরণ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. লেনিন চৌধুরী। গণ কনভেনশনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষেরা যৌনসন্ত্রাস রোধে করণীয় তুলে ধরে প্রস্তাবনা দেন। এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও মানুষ অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্ব সঞ্চালনা করেন ফেরদৌস আহমেদ উজ্জ্বল, তারেক হোসেন মিঠুল।