ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বের অপেক্ষা, কী চাইছেন কর্মীরা
ছাত্রলীগের সাইফুর রহমান সোহাগ ও এস এম জাকির হোসাইনের নেতৃত্বাধীন কমিটি বিদায় নিতে যাচ্ছে। আগামীকাল শনিবারের মধ্যে জানা যাবে নতুন কমিটির নেতৃত্বে কারা আসছেন।
গত বছরগুলোতে কর্মীদের ছাত্রত্ব, যোগ্যতা, যোগ্যতা অনুযায়ী পদপ্রাপ্তি, ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশের মতো ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ছাত্রলীগ।
এমনকি ছাত্রলীগের কর্মীরাও বিভিন্ন সময়ে তাঁদের ক্ষোভ জানিয়েছেন। তাই নতুন নেতৃত্বের প্রতি ছাত্রলীগের সাধারণ কর্মীদেরও প্রত্যাশার শেষ নেই।
এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন কর্মীর কথা হয়। তাঁরা চান, সত্যিকারের ছাত্ররাই যাতে আগামী নেতৃত্বে আসে। একই সঙ্গে তাঁরা ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারীদের উচ্ছেদ চান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে কথা হয় ছাত্রলীগের কর্মী আকাশের সঙ্গে। আগামী দিনের নতুন নেতৃত্বের কাছে প্রত্যাশা কী—জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা চাই এমন কারো হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব আসুক, যিনি ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করবেন। কারণ ছাত্রলীগ হচ্ছে ছাত্রদের সংগঠন।’
ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহসম্পাদক খাদেমুল বাশার জয় বলেন, ‘আগামী দিনে যাঁরাই নেতৃত্বে আসবেন, তাঁরা যেন সবার কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করেন এবং ছাত্রদের অধিকার আদায়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কারণ ছাত্রলীগ একটি ছাত্রসংগঠন।’
মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান বলেন, ‘আগামীকাল সম্মেলন, তাই ঢাকা এসেছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে আমাদের নেতা হিসেবে নির্বাচন করবেন, আমরা তাঁর নির্দেশেই কাজ করব। তবে আমি চাই, সত্যিকারে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসীদের হাতেই ছাত্রলীগের পতাকা তুলে দেওয়া হোক।’
ঢাবির রোকেয়া হলের ছাত্রলীগ কর্মী ফাহমিদা জাবিন বলেন, ‘ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্বে যেন কোনো অনুপ্রবেশকারী না আসে। কারণ সামনে নির্বাচন। তাই আমরা আশা করি, এমন লোকদের হাতে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব আসবে, যারা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারও বিজয়ী করে ক্ষমতায় আনতে সঠিকভাবে কাজ করবে।’
আজকের সমাপনী সম্মেলনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।
সম্মেলন সফল করতে সংগঠন থেকেও নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি। এখন অপেক্ষা শুধু বর্তমান কমিটির সমাপনী অনুষ্ঠানের।