খুলনা নিয়ে বিএনপির দাবি, ইসির না!
খুলনা সিটি করপোরেশন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ বিবেচনা করা হবে। তবে সেখান তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান ইসি সচিব।
আজ বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতায় রায় চৌধুরী ও যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন। জানা যায়, পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) দিদার আহমেদ, খুলনা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবির ও উপকমিশনার সরদার রফিকুল ইসলামের নামে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে বিএনপি।
বৈঠক শেষে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিএনপির এজেন্টদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করছে পুলিশ। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে বিএনপি দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মন্তব্য করে তিনি বলেন, খুলনার রিটার্নি কর্মকর্তাকে তদারকির জন্য ঊর্ধ্বতন কাউকে বসানো নির্বাচনী আইন পরিপন্থী।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, ‘না, বিষয়টি হলো খুলনায় কিন্তু আমাদের দুজন নির্বাচন কমিশনার আছে। এ ছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার চেয়ে কয়েকজন বড় বড় কর্মকর্তা আছেন। তবে তাঁরা সবাই কি তদারকি করছেন? সবাই তাঁকে পরামর্শ দিচ্ছেন।’
তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী ১৩ মে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে। এখন সম্ভবত প্রত্যাহারের বিষয়টি কমিশন বিবেচনা করবে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে বিএনপির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। তাদের যে অভিযোগ সেটা যাতে আর না ঘটে তার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্দেশ দেবেন।
ইসি সচিব আরো বলেন, বিএনপি একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। ওই লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি তাদের বলেছেন, তাদের অভিযোগ বিবেচনা করে দেখা হবে। পুলিশ কমিশনারসহ সব ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে সিইসি বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে বলবেন এবং নির্বাচন কমিশন বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।