ভারতের যৌনপল্লিতে তরুণীকে বিক্রি, ৫ জনের যাবজ্জীবন
বাংলাদেশি তরুণীকে ভারতে পাচার করে যৌনপল্লিতে বিক্রি করার দায়ে দুই নারীসহ পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাহমুদপুর বাদামতলা গ্রামের রহিমা খাতুন, মাসুরা খাতুন, আবদুর রশীদ, আবদুল জলিল ও আশরাফুল ইসলাম। আদালত তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন। আসামিরা জামিন নিয়ে পলাতক আছেন। তাদের অনুপস্থিতিতেই আজ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামিরা ২০১০ সালের ২ জানুয়ারি মাহমুদপুর বাদামতলা গ্রামের এক তরুণীকে বাড়ি থেকে ফুসলিয়ে ডেকে নিয়ে যান। পরে তাঁরা তাঁকে সাতক্ষীরার কুশখালী সীমান্ত পথে ভারতে পাচার করে মুম্বাইয়ের একটি যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেন। ওই তরুণী সেখান থেকে তাঁর মায়ের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে এই তথ্য জানান এবং তাঁকে উদ্ধারের আবেদন জানান। এরপর ওই তরুণীর মা এ বিষয়ে পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। পুলিশ মামলা তদন্তের পর পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট নাজমুন নাহার ঝুমুর।