আশুগঞ্জে কালবৈশাখীতে বিধ্বস্ত ২৫ ঘর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় কালবৈশাখীতে অন্তত ২৫টি ঘর ও তিনটি চাতালকল বিধস্ত হয়েছে। আজ সোমবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরে বেশ কয়েকটি বাড়ির চাল খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঘরের মালিকরা।
এদিকে ঘর, মুরগির খামার, টাকাসহ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র হারিয়ে অনেকে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন।
খবর পেয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মৌসুমী বাইন হীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদেরতালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেখে মনে হচ্ছে, ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের ইসহাক মিয়া বলেন, ‘কিভাবে বেঁচে আছি, তা আমি বলতে পারব না। কারণ, আমার তিনটি ঘরের ওপর দুটি দেড়শ ফুট উঁচু গাছ ঝড়ে বিকট শব্দ হয়ে উপড়ে পড়ে। ঘর দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এতে আমার তিনটি ঘরের কিছুই অবশিষ্ট নেই। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসন তথা সরকারের দ্রুত সহযোগিতা চাই।’
দুর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামের মদিনা বেডিং স্টোরের মালিক তৌফিক হোসেন বলেন, ‘আমার গোডাউনের শতকরা ৭০ ভাগ তুলা ঝড়ে উড়ে গেছে। কোথায় গেছে খুঁজে পাচ্ছি না। আমি এসব মালামাল ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কিনে এনে ছিলাম। আমার পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় নাই।’ একই কথা বলেন অন্য ক্ষতিগ্রস্তরাও।