‘তিলোত্তমা’ খুলনা গড়বেন খালেক, ‘হতাশ’ মঞ্জু
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন হাইকোর্টে স্থগিত হয়ে যাওয়ার পর সারা দেশের দৃষ্টি এখন খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিকে।
আজ সোমবার থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তিনি খুলনাকে আধুনিক ও তিলোত্তমা নগরীর অঙ্গীকার করেছেন।
গতকাল রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদা বিএনপির আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নাকচ করে দেন। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
অন্যদিকে, নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে প্রচারণা চালাচ্ছেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
তালুকদার আবদুল খালেক আজ নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুর রহমান রোড থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে সদর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলামসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নৌকা প্রতীক নিয়ে উপস্থিত ছিলেন।
তালুকদার আবদুল খালেক বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের মতো খুলনায় স্থগিত হওয়া সম্ভব না। কারণ খুলনার পুরোনো পৌরসভা সীমানায় নির্বাচন হচ্ছে। দলীয় ও জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরে আর এখন হচ্ছে খুলনা উন্নয়নের নির্বাচন। ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবে, তাকেই ভোট দেবে। তিনি নিজে খুলনাকে আধুনিক নগরী এবং তিলোত্তমা করার অঙ্গীকার করছেন।
অন্যদিকে, বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ড দৌলতপুরের পাবলা থেকে প্রচারণায় অংশ নেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে স্থানীয় ২০ দলীয় জোট নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তিনি খুলনায় একজন নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব দিতে দাবি জানান।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যে হতাশ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের পর পুলিশ প্রশাসন আরো বেপরোয়া হয়ে তাঁর দলের নেতাকর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। মঞ্জু বলেন, তাদের কোনো দাবি পূরণ তো হয়নি এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডও (সবার জন্য সমান সুযোগ) নেই। তিনি খুলনা সিটি নির্বাচনে একজন নির্বাচন কমিশনারকে খুলনায় অবস্থান নিতে দাবি জানান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের রিটার্নিং অফিসারকে পাশ কাটিয়ে বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়ে নির্বাচন সমন্বয় কমিটি গঠন এবং তাদের হাতে সব ক্ষমতা অর্পণে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বিভাগীয় কমিশনারের আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান, বাম মোর্চার মিজানুর রহমান বাবু ও ইসলামী আন্দোলনের মো. মুজ্জাম্মিল হকও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চলাচ্ছেন।
আগামী ১৫ মে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।