এবার মহেশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র
আবারও বিশেষ ক্ষমতা আইনে কক্সবাজারের মহেশখালীতে কয়লাভিত্তিক এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াটা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি করল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। আজ রোববার সকালে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে চায়না হুন্দাই হংকং কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে এ চুক্তি হয়।
পরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘২০১০ সালে করা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের বিশেষ আইনটি ২০২১ সাল পর্যন্ত বহাল থাকা উচিত।’
২০১০ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করলেও, এখনো কয়লা থেকে কোনো বিদ্যুৎ মেলেনি। এমন বাস্তবতায় আবারও কক্সবজারের মহেশখালীতে কয়লাভিত্তিক এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি করল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। চুক্তি অনুযায়ী চার বছরের মধ্যে এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ পাবার কথা। এটিও বিশেষ ক্ষমতা আইনে অর্থাৎ দরপত্র ছাড়াই।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘টেন্ডার করলে আরো ছয় বছর হতো। আরো দেরি হতো। আমরা চাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব। আমাদের রিকোয়ারমেন্টগুলো বেড়ে যাচ্ছে।
আমাদের যে রিকোয়ারমেন্ট ছিল ১০ পারসেন্ট; গ্রোথ হয়ে যাচ্ছে ১৪ পারসেন্ট, ১৫ পারসেন্টের ওপর। যার জন্য বিশেষ আইন প্রয়োগ করে দ্রুততার সাথে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আনছি। আমার মনে হয় এ বিশেষ আইনটি আরো কিছু বছর আমাদের লাগবে কাজ করার জন্য। যেহেতু ২১ সালে আমাদের একটা টার্গেট আছে; ভিশন আছে। আমরা আশা করছি অন্তত ২১ সাল পর্যন্ত আমাদেরকে এটা এক্সটেন্ড করতে হবে।’
তবে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা, ‘আমি দেখতে পাচ্ছি এ আইনের কারণে ঘুষ, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, অপচয় বাড়ছে। এ খাত বিনিয়োগকারীদের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হচ্ছে না। এটা জনস্বার্থসম্মত হচ্ছে না। আমার ক্ষমতা থাকলে আমি এখনই এটা বাতিল করতাম, এর মেয়াদ বৃদ্ধি তো দূরের কথা।’