আন্দোলনের ধরন পরিবর্তন হতে পারে : নজরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি শুধু শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে পারে এর বাইরে কিছু করতে পারে না মনে করলে ভুল করবেন। প্রয়োজনে জনগণের স্বার্থে, খালেদা জিয়া ও দলের স্বার্থে আন্দোলনের ধরন পরিবর্তন করতে পারে।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অ্যাকটিভ সিটিজেন অব বাংলাদেশ আয়োজিত খালেদা জিয়া ও তাঁর একান্ত সহকারী শিমুল বিশ্বাসের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় নজরুল ইসলাম খান এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমাদের আন্দোলনের সেই ধরন পরিবর্তন হতে পারে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও দলীয় ফোরামের আলোচনা করে জনগণের স্বার্থে ও দেশের স্বার্থে। বিএনপি শান্তিতে বিশ্বাস করে তাই খালেদা জিয়ার নির্দেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছে।
‘আমরা এর আগে এরশাদের স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে অনেক বড় আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অনেক বড় আন্দোলন করেছি। সেটি ভুলে গেলে চলবে না। প্রয়োজনে আমরা আবারও আন্দোলনের ধরন পরিবর্তন করব।’
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাদ দিয়ে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। জনগণ হতে দিবে না। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, তাতে সফল হব। তবে আইনি লড়াইয় ফলাফল না আসলে কোন লড়াই হবে- সেটি দল সিদ্ধান্ত নেবে।’
খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে সরকার শান্ত হয়নি। এখন তাঁর জামিন আটকে রেখেছে আদালতের মাধ্যমে। যাতে তাঁকে দীর্ঘ দিন কারাগারে আটকে রাখা যায়, কারণ সরকার খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে ভয় পায়। কারণ খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে তাঁরা আবার ৫ জানুয়ারির মতো একতরফা ভোট করে ক্ষমতা দখল করতে পারবে না। সেই ভয়ে তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা আশা করি, আগামী ৮ মে আপিল বিভাগে তিনি জামিন পাবেন, যদিও অন্য মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট চাইলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার নিজেদের অপরাধের বিচার থেকে বাঁচতে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। আমরা না করি কেউ না কেউ তাদের এসব অন্যায়ের বিচার করবে। মানুষের প্রতিরোধ থেকে বাঁচা সম্ভব না। একদিন জবাব দিতেই হবে।’
‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচার স্বীকৃতি পাওয়ার পর বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক স্বৈরাচারী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। তাঁর তো আর সমালোচনা করার কিছু নাই। একজন স্বৈরাচার যা যা করে বিরোধী দলকে দমন করতে প্রধানমন্ত্রী তার সবই করেছেন।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে মানুষ কথা নয়, কাজ বেশি চায়। বিরোধী দলের কাজ করার ক্ষমতা নাই, তাই কথা বলবে। কিন্তু সরকারের এত কথা বলার কিছু নাই। আওয়ামী লীগ সরকার বেশি কথা বলে।’
প্রতিবাদ সভায় সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফুর ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, নাজমুল হক নান্নু, বিএনপির সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, ছাত্রদলের সহসভাপতি নাজমুল হাসান প্রমুখ।