আদেশের কপি পাওয়ার পর আপিলের সিদ্ধান্ত
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে। আইন অনুযায়ীই আদেশ হয়েছে। তবে আদেশের কপি পাওয়ার পর আপিলের বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
আজ রোববার প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র ও কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা আর দিন-রাত প্রচারের আমেজে নির্বাচনী হাওয়া যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
দুপুরে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন স্থগিতের রায় দেন। একই সঙ্গে সাভারের শিমুলিয়া এলাকার ছয়টি মৌজাকে নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মাহবুবে আলম বলেন, ২০১৩ সালে সাভারের ছয়টি মৌজাকে (শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, পানিশাইল ও ডোমনাগ) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরপর বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। কিন্তু তা নিষ্পত্তি না হওয়ায় পুনরায় রিট দায়ের করা হলে আদালত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিতের আদেশ দেন।
গাজীপুর সিটির সীমানা নিয়ে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম এ রিট আবেদন করেন। সুরুজ সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে পরপর দুবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
রিটে বলা হয়, রিটে বলা হয়,এসব এলাকা প্রশাসনিকভাবে ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৬টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৩ সালে ১৬ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করেছিল ইসি। সেই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে আজ রোববার এক নম্বর শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ একটি রিট আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে নির্বাচন স্থগিত করেন। ঢাকার সাভারের এক নম্বর শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি গেজেট প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে ২০১৫ সালে এক নম্বর শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ ওই মৌজাগুলো গাজীপুর সিটি করপোরেশন থেকে বাদ দিতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেন।
কিন্তু ইসি এ ব্যাপারে সাড়া না দেওয়ায় তাঁর আবেদনের নিষ্পত্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন আজহারুল ইসলাম। রিটে নির্বাচন কমিশন যেন তার আবেদনের নিষ্পত্তি করে সে আর্জি জানানো হয়।