ভোট স্থগিত সরকারের কারসাজি : মির্জা ফখরুল
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন স্থগিত ‘সরকারের কারসাজি’ বললেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রোববার দুপুরে রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে রায় দেওয়ার পর সন্ধ্যায় এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার নিজেদের পরাজয় জেনেই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট স্থগিত করেছে। কারণ, তারা জানে জনগণ তাদের ভোট দিবে না। সেজন্য দলীয় লোক দিয়ে রিট করে নির্বাচন স্থগিত করিয়েছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ভোটের কয়েক দিন আগে তা স্থগিত করা সরকারের স্পষ্ট কারসাজি। কারণ যিনি রিট করেছেন তিনিও সরকারি দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতা। তাই পরাজয়ের ভয়ে আদালতের মাধ্যমে এটি করিয়েছে।’
নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না- জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা বসে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। যখন এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তখন আপনাদের জানানো হবে।’
দুপুরে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন স্থগিতের রায় দেন। একই সঙ্গে সাভারের শিমুলিয়া এলাকার ছয়টি মৌজাকে নির্বাচনী এলাকার অন্তর্ভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গাজীপুর সিটির সীমানা নিয়ে ঢাকার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান এ বি এম আজাহারুল ইসলাম সুরুজ এ রিট আবেদন করেন। সুরুজ সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনসংখ্যা বিষয়ক বিষয়ক। তিনি ২০১১ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে পরপর দুবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
আগামী ১৫ মে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। একই দিন খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনও হওয়ার কথা রয়েছে। গাজীপুরে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী হলেন তরুণ নেতা জাহাঙ্গীর আলম।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক এম এ মান্নান আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন। এবার প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলই এ সিটিতে তাদের প্রার্থীতার ক্ষেত্রে পরিবর্তন এনেছে।