চাচি শাশুড়ির দেওয়া আগুনে যুবলীগ নেতা নিহত
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আবুল হাসেম বাচা আগুনে পুড়ে মারা গেলেও এটি কোনো দুর্ঘটনা ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরকীয়ার জের ধরে চাচি শাশুড়ির দেওয়া আগুনেই নিহত হন তিনি।
আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
হালিশহর পুলিশ লাইন মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত শুক্রবার রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিজের বাসা থেকে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আবুল হাসেম বাচার আগুনে পোড়া কংকাল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পর মোবাইল ট্রেকিং পদ্ধতি ব্যবহার করে এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে আটক করা হয় আবুল হাসেমের চাচি শাশুড়ি জিফুকে। ওই ব্যবসায়ীর মোবাইল ফোন থেকে বৃহস্পতিবার আবুল হাসেমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জিফু বেগম।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দেওয়ার সুযোগ নিয়ে ফাঁকা চেকে সই নিয়ে রাখতেন হাসেম। এ ছাড়া এক সময় জিফুর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান হাসেম। সেই সময়কার ছবি জনসম্মুখে প্রচার করার ভয় দেখাতেন তিনি। শুধু তাই নয়, হাসেমকে বিয়ে করলে নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়াসহ নানা ধরনের প্রলোভন তিনি দিতেন জিফু বেগমকে। ঘটনার দিন রাতে হাসেমের স্ত্রীকে বেড়াতে পাঠিয়ে দেন তিনি। এরপর জিফু বেগমকে নিজের বাড়িতে ডাকেন। এই সুযোগে হাসেমকে প্রথমে ফলের রসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান জিফু। এরপর গ্যাসের সিলিন্ডারের চাবি খুলে ঘরে গ্যাস বের হওয়ার ব্যবস্থা করেন তিনি। পরে আগুন ধরানোর ব্যবস্থা করে ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে যান জিফু বেগম। বের হওয়ার সময় আবুল হাসেমের ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে দিয়ে যান তিনি। এভাবেই তিনি হাসেমকে হত্যা করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন জিফু বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।