খুলনায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ঘাটতি নেই : সিইসি
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের (সবার জন্য সমান সুযোগ) কোনো ঘাটতি নেই বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ১৫ মে অনুষ্ঠেয় সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে।
আজ রোববার খুলনা সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে সিটি নির্বাচন উপলক্ষে বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির দুই ঘণ্টার সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন।
বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের অভিযোগ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, গণগ্রেপ্তার করা হচ্ছে, বিএনপির এমন অভিযোগ সঠিক নয়। যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, সন্ত্রাসী, দাগি তাদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন ব্যক্তি ও অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) থাকবে কি না, সে বিষয়ে নুরুল হুদা বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
পুলিশের শীর্ষ পদ এবং বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলি করার দাবি সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচনে এখন পর্যন্ত পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যত্যয় ঘটায়নি। যে কারণে তাদের বদলির বিষয় নিয়ে ভাবা হচ্ছে না।
শনিবার রাতে নগরীর খালিশপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী সুলতান মাহমুদ পিন্টুকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনাটিকে অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করে কে. এম. নুরুল হুদা বলেন, এ ঘটনায় মামলা হবে এবং পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন চলাকালে প্রশাসনিক সব কাজ চলবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকারের এখানে কিছু করার নেই। সরকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে না।
নুরুল হুদা বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটাররা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং নিরাপদে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, তার সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে খুলনা বিভাগের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. দিদার আহমেদ, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. হুমায়ুন কবীর, র্যাব-৬ খুলনার পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, খুলনা জেলা প্রশাসক মো. আমিন উল আহসান, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোল্লা নিজামুল হক।