২৪ ঘণ্টায় ৩০ বার লোডশেডিং!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জকে সরকার ‘বিদ্যুতের হাব’ ঘোষণা করেছে। কিন্তু আশুগঞ্জেই বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের কারণে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। গতকাল শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় এখানে লোডশেডিং হয়েছে মোট ৩০ বার।
গতকাল দুপুর থেকে আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ এইভাবে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করতে থাকে। এতে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
আশুগঞ্জ শহরের মো. হাসান আলী নামে এক গ্রাহক বলেন, ‘বিদ্যুৎ আসে, না যায়- তা বলা মুশকিল। কারণ বিদ্যুৎ আসার এক মিনিটের পলকে আবার চলে যায়, আবার আসে আবার চলে যায়। বিদ্যুতের রাজধানীতে যদি এ অবস্থা হয়, তাহলে যেখানে বিদ্যুৎকেন্দ্র নেই তাদের কি অবস্থা? তাই এটাকে বিদ্যুতের আসা, না যাওয়া বলব বুঝে উঠতে পারছি না।’
এ দিকে শহরের ক্ষুব্ধ এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে সরবরাহ একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হোক। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে আমরা নিজ উদ্যোগে বিকল্প ব্যবস্থা করে নেব।’
মকবুল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘আশুগঞ্জকে সরকার বিদ্যুতের হাব ঘোষণা করেছে। অথচ আশুগঞ্জেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থার এই নাজেহাল অবস্থা হলে সারা দেশের কী অবস্থা?’
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী চন্দন কুমার সূত্রধর বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহের সমস্যা যতটা না যান্ত্রিক, তার চেয়ে বেশি সমস্যা সরবরাহ লাইনে। সরবরাহ লাইন যত দিন ঠিক না হবে তত দিন বিদ্যুৎ সরবরাহে সমস্যা থাকবে।’
তবে, সরবরাহ লাইন কবে নাগাদ ঠিক হতে পারে এই ব্যাপারে কোনো উত্তর দিতে পারেননি এই প্রকৌশলী।
এদিকে, গ্রাহকরা বলছেন, অবিলম্বে অবস্থার উন্নতি না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছে। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ না থাকলে ছেলেমেয়েরা কীভাবে লেখাপড়া করবে?’
তবে, গতকাল দুপুরে ঝড়-বৃষ্টির কারণে আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যালয়ের কন্ট্রোল প্যানেলে সমস্যার হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানায় আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তর।