গলাচিপার বুড়াগৌরাঙ্গ নদে ফেরি চালু
বুড়াগৌরাঙ্গ নদে ফেরি সার্ভিস চালুর মাধ্যমে পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার চার উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অন্তত ৭০ গ্রামের আড়াই লাখ মানুষ সড়ক নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হলো।
আজ বুধবার বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রী মো. শাজাহান খান ও পটুয়াখালী-৩ আসনের সাংসদ আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফেরি উদ্বোধন করেন।
এ সময় নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার অন্যতম বিপৎসঙ্কুল নদ বুড়াগৌরাঙ্গ পারাপারে আর কোনো বাধা বা ভয় থাকল না। বিচ্ছিন্ন চরের মানুষের জীবনযাত্রা পাল্টাতে চরমোন্তাজ-রাঙ্গাবালী ও কলাপাড়ার সাথে নৌপথে ফেরি চালু করে যোগাযোগের এক নতুন দিগন্ত স্থাপন করা হলো।
নৌমন্ত্রী আরো বলেন, প্রথম ও নতুন ফেরি পেয়ে এসব এলাকার কৃষি, মৎস্য, পর্যটন এবং স্বাস্থ্য সেবাসহ বিভিন্ন খাতেও ইতিবাচক পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। যে কারণে এলাকাবাসী ব্যাপক উৎফুল্ল। এর মাধ্যমে এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের একটি চাওয়া পূরণ হয়েছে।
উদ্বোধনী ফেরিতে করে মন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা বদনাতলী ঘাট থেকে ওপারে চর কাজল চরশিবা ফেরিঘাটে পার হন। এরই মধ্য দিয়ে ফেরিযাত্রার শুভ সূচনা করা হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন-উর রশিদ জানান, নৌমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এ রুটে ‘কেতকী’ নামের অত্যাধুনিক ফেরি সার্ভিস চালু হলো। ফেরিতে এক সঙ্গে ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি পারাপার করা যাবে। এরই মধ্যে নদের বদনাতলী ও চরশিবা ঘাটে জেটি স্থাপন করা হয়েছে। নদে কিছু ডুবোচর রয়েছে। তা অপসারণে ড্রেজিং করা শুরু হয়েছে।