খুলনায় যুবদল নেতা আটক নিয়ে পুলিশ-বিএনপির পাল্টা বক্তব্য
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিতে এসে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে বাগেরহাট জেলা যুবদল সভাপতি মেহবুবুল হক কিশোর আটক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার দুপুরে গল্লামারী এলাকা থেকে কিশোরকে আটক করা হয়। তবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র এই ঘটনা স্বীকার করেননি।
বিএনপি মেয়র পদপ্রার্থীর প্রচার সেল থেকে ইমেল বার্তায় জানানো হয় যে মেহবুবুল হক কিশোর আজ সকাল ১০টা থেকে খুলনা মহানগরী এলাকায় ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের সঙ্গে তিনি রূপসা, টুটপাড়া ও চানমারি এলাকায় গণসংযোগ করেন। এরপর আকস্মিক বৃষ্টিতে প্রচারণা কাজে বাঁধা সৃষ্টি হয়।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ অনুযায়ী, এ সময় কিশোর গল্লামারী যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি ইজিবাইকে ওঠেন। তাঁকে বহন করা ইজিবাইকটি গল্লামারী পৌঁছালে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
কেসিসি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত ও ২০ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, দলীয় সমর্থনে ও দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে প্রচারণার কাজে অংশ নিতে শুধু খুলনা নয়, কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসবেন। এটি নির্বাচনী আচরনিবিধির লঙ্ঘন নয়। অন্য প্রার্থীর পক্ষেও তাঁর দলীয় কর্মীরা ভিন্ন জেলা থেকে আসছেন। যার সংবাদ ও ছবি পত্রিকায় ছাপা হচ্ছে। কিন্ত উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিএনপির কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করাকে অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে মনে করেন তিনি।
মঞ্জু বলেন, ‘আমরা বারবার নির্বাচন কমিশনের কাছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্ত এখনো তা নিশ্চিত করা হয়নি। বরং বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত হয়রানি ও হুমকির মধ্যে রয়েছে। কিশোরকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে প্রশাসনের এই একচোখা দৃষ্টিভঙ্গি সবার নজরে পড়েছে।’
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, অবিলম্বে কিশোরের নিঃশর্ত মুক্তি এবং পুলিশ প্রশাসনের হয়রানিমূলক সব অপতৎপরতা বন্ধের জোর দাবি জানান ২০ দলীয় জোটের এই মেয়র পদপ্রার্থী।
তবে কেএমপির মুখপাত্র এডিসি সোনালী সেন জানান, ঘটনা শুনে তিনি সংশ্লিষ্ট থানা এবং গোয়েন্দা পুলিশের কাছে খবর নিয়ে সংবাদের সত্যতা পাননি।