ফ্ল্যাট বাসায় জাল নোট তৈরি করছিলেন ভাই-বোন!
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ফ্ল্যাট বাসার ছয়তলায় জাল নোট তৈরির সময় হাতেনাতে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২ এর সদস্যরা। আজ মঙ্গলবার সকালে ফতুল্লার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকায় রাতুল মনির সড়কের একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ৪২ লাখ টাকার জাল নোট ও নোট তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মামুন ইসলাম (২১) ও কমলা বেগম (৩২)। তাঁরা সম্পর্কে ভাই-বোন বলে র্যাব সদস্যদের জানিয়েছেন। তবে, তাদের অন্য সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করছে র্যাব।
অভিযানের সময় মামুন ও কমলা প্রিন্টার থেকে জাল টাকা বের করছিলেন বলে জানান র্যাব-২ এর স্কট কমান্ডার ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।
দুপুর সাড়ে ১২টায় অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব। এ সময় র্যাব-২ এর উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) আতিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার একটি ফ্ল্যাট বাসা থেকে উদ্ধার হওয়া জাল নোট ও সরঞ্জাম। ছবি : এনটিভি
সংবাদ সম্মেলনে মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘এই খান মঞ্জিলের ছয়তলায় একটা ফ্ল্যাট বাসায়, সেখানে জালনোট প্রস্তুতকারী চক্রের দুই সদস্যকে জাল টাকা, প্রায় ৪২ লক্ষ জাল নোট। এক হাজার এবং ৫০০ টাকার নোট, তারপরে পাঁচটা প্রিন্টার, একটি ল্যাপটপ, ১২টি ডাইস প্লেট, তারপরে টাকা তৈরির যে কাগজ, টাকা প্রস্তুত করার যে কালি, তারপরে কার্টিস, এবং বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামসহ তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তাদের গ্রেপ্তারকালে উদ্ধারকৃত উল্লেখযোগ্য প্রিন্টারের ভেতর থেকে টাকা বের হচ্ছে, অর্থাৎ টাকা তৈরি করছে, এ রকম একটা অবস্থায় আমরা তাদেরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।’
স্থানীয়রা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা দুই-তিন মাস আগে ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। তবে এতদিনেও কেউ তাদের চেনেন না। এলাকার কেউ তাদের কখনো বাইরে আসা- যাওয়া করতেও দেখেননি। বাসার বাড়িওয়ালাও এই বাড়িতে থাকেন না। অন্য কোথাও থাকেন।
জাল নোট বানিয়ে এই চক্রটি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাচার করছিল বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম। এই চক্রের সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।