রানা প্লাজা : ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বাড়ানোর দাবি
সাভারের রানা প্লাজা ধসে নিহত ও আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দুর্ঘটনায় নিহতদের সন্তানদের আলোকবর্তিকা প্রজ্বালন কর্মসূচিতে এই দাবি জানায় সংগঠনটি।
এ সময় নিহতদের স্বজনরা যথাযথ ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি ওই দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে সব শ্রমিকের জন্য আমরা নিরাপদ কর্মস্থল দাবি করছি। রানা প্লাজা ও তাজরীনের নিহত, আহত ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা যেকোনো মূল্যে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতের দাবি জানান। এ ছাড়া মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য এমপ্লয়মেন্ট ইনজুরি প্রটেকশন স্কিম চালুর দাবি জানান শ্রমিক নেতারা। কর্মসূচি থেকে শ্রম আইনে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পুনর্বাসনের ধারা সংযোজনের দাবি জানানো হয়।
২০১৩ সালের আজকের এই দিনে (২৪ এপ্রিল) সকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রানা প্লাজা ধসে পড়ে। ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত এবং এক হাজার ১১৭ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো ১৯ জন মারা যান। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় এক হাজার ১৩৬ জন।
সর্বশেষ ২০১৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাবনার বেড়ায় রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিক আবদুস সোবহান মারা যান।
ভবন ধসের ঘটনায় আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ আদালতের নির্দেশে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ব্যক্তিগত সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে সরকার।
ঘটনার পরের দিন সাভার থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ খান অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ ২১ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন ইমারত নির্মাণ আইনে ১৩ জনকে আসামি করে আরো একটি মামলা করেন।