পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর ফেসবুক হ্যাকড
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি নিজেই।
আজ মঙ্গলবার সকালে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রতিমন্ত্রী লেখেন, ‘আমার ফেসবুকের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে সারা রাত। হ্যাকিং। পোস্ট উধাও। বুঝতেই পারছেন এই বিনিয়োগ কারা করেছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই শাহরিয়ার আলমের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হলো।
এর আগে গতকাল সোমবার গুলশানে নিজের বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান এবং একমাত্র মেয়ে জাইমা রহমান চার বছর আগেই ব্রিটিশ হোম অফিসে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) নিজেদের বাংলাদেশি পাসপোর্ট হস্তান্তর করেছেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘তিনি (তারেক রহমান) কি পাসপোর্ট নবায়ন করতে চেয়েছেন? বা এর মেয়াদ বাড়াতে চেয়েছেন? তিনি তো চাইলে যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশ দূতাবাসে তাঁদের পাসপোর্ট হস্তান্তর করতে পারতেন। তবে সেটি না করে তিনি পাসপোর্ট যুক্তরাজ্যের হোম অফিসে জমা দিয়েছেন। এর অর্থ কী? একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে আমি মনে করি, এটা জাতীয়তাকে বা নাগরিকত্বকে অস্বীকার করা।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফৌজদারি আইনে সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি (তারেক রহমান) তাঁকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। বিষয়টি মজার হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তিনি আইনগতভাবেই বিষয়টির মোকাবিলা করবেন। কারণ তাঁর কাছে তারেক রহমানের পাসপোর্ট জমা দেওয়ার বিষয়ে সব ধরনের তথ্য-প্রমাণ আছে।
এর আগে লন্ডনের স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার আলম জানান, চার বছর আগেই পাসপোর্ট হস্তান্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন তারেক রহমান।
এ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল দুপুরে তারেক রহমানের পক্ষে বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে প্রতিমন্ত্রী, দৈনিক কালের কণ্ঠ ও বাংলাদেশে প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
নোটিশে ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করেছেন’—এ খবর ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করে তা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।