বাউফলে হামলায় ইউপি সদস্য নিহত
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় দুর্বৃত্তের হামলায় রফিকুল ইসলাম (৪২) নামের এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, আজ দুপুরে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম নওমলা থেকে লোহালিয়া খেয়াঘাটে নওমলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাদাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য মোটরসাইকেলে করে ভাঙ্গাব্রিজ এলাকা অতিক্রম করছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রফিকের ওপর হামলা চালায় এবং বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় রফিককে দুপুর ১টার দিকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
ডা. আক্তারুজ্জামান জানান, নিহত রফিকের পিঠে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও তিনি জানান। মরদেহ পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রফিকুল ইসলাম বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থক ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি নওমলা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন।
এদিকে, উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে চলমান অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরেই তাঁর সমর্থককে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল। চিফ হুইপ আ. স. ম. ফিরোজের লোকজনই রফিকুল ইসলামকে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে, আ. স. ম. ফিরোজের সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মোল্লা দাবি করেন, দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে নয়, বরং তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরেই এই হত্যা করা হয়েছে। এতে তাঁরা কোনোভাবেই জড়িত নন বলেও তিনি দাবি করেন।
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত সাতজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।