যুব ইউনিয়ন নেতার হাত-পা ভাঙল ক্ষমতাসীনরা
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে উত্ত্যক্ত করতে বাধা দেওয়ায় ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা যুব ইউনিয়নের সভাপতি শোয়েব আহমেদের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ফুলপুর উপজেলার আমুয়াকান্দা বাজার ধানমহাল মোড়ে ঘটনাটি ঘটে।
গুরুতর আহত শোয়েব আহমেদ বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এ ঘটনায় শোয়েবের বাবা ফুলপুর উপজেলা সিপিবির সভাপতি আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ফুলপুর থানায় ১৮ জনের নামে অভিযোগ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন জাহাঙ্গীর হোসেন (৫০), সবুজ মিয়া (২৩), প্রান্ত (২২), পরশ (৩০), মাহবুব (২১), ইয়াসিন (২১), জাহিদ (২৩), বিজয় (২১), জহিত মিয়া (২২), টিটু (২১), আরিফুল ইসলাম (২৬), আল আমিন (২২), রবিন (২০) ও অজ্ঞাত পাঁচ-ছয়জন।
হামলাকারী সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে জানিয়েছেন শোয়েব ও তাঁর বাবা।
শোয়েব ও তাঁর বাবার অভিযোগ, প্রতি বছরের মতো এবারও স্থানীয়ভাবে পয়ারীকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুই দিনব্যাপী বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রথম দিন সকালে একজন অতিথি নৃত্যশিল্পী নাচ শেষ করে মঞ্চ থেকে নামলে ইয়াসিন নামের এক যুবক তাঁর হাত ধরে টানাটানি করেন। পরে শোয়েব ও আয়োজকদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিটে যায়।
১৭ এপ্রিল সকালে শোয়েব মোটরসাইকেলে করে ধানমহাল এলাকায় পৌঁছালে ১০ থেকে ১২ জন তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাঁকে লাঠি, বাঁশ ও কাঠের ফালি দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ সময় শোয়েবের ডান ও বাঁ হাত এবং ডান পা ভেঙে যায়।
পরে হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয় লোকজন শোয়েবকে প্রথমে ফুলপুর উপজেলা হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ফুলপুর উপজেলা সিপিবির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আমার ছেলেকে মেরে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। পুলিশ মামলা নেয়নি। বাধার মুখে বুধবার রাতে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতকে আসামি করে ফুলপুর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি এই ঘটনার জড়িতদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মাহবুব আলম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’