পরিত্যক্ত কুয়ার ভেতর যুবলীগ নেতার লাশ, গ্রেপ্তার ৪
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফজর আলী, সাইদুল ইসলাম, নবী হোসেন ও হাতেম আলী। এদের মধ্যে ফজর আলী ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বাকিরা যুবলীগের কর্মী।
আজ বৃহস্পতিবার দীঘিনালা থানার সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলার পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান জানান, তক্ষক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি দ্বন্দ্বের জেরেই পরিকল্পিতভাবে মোশাররফ হোসেনকে হত্যা করা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
থানা পুলিশ জানায়, তক্ষক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বে গত শুক্রবার রাতে মোশাররফ হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে প্রায় ৭০ ফুট গভীর একটি একটি পরিত্যক্ত কুয়ার ভেতর ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার দুদিন পর স্থানীয় লোকজন রক্ত দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ১৫ এপ্রিল ওই কুয়া থেকে মোশাররফ হোসেনের লাশ উদ্ধার করে।
আসামিদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী আজ এই কুয়া থেকে হত্যার আলামত উদ্ধার করা হয়। ছবি : এনটিভি
পরে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল বুধবার বিকেলে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ফজর আলীকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দীঘিনালা উপজেলার রশিকনগর এলাকা থেকে অপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সকালে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে, মোশাররফ হোসেনের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আজ সকাল থেকে থানার সামনে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারী পুরুষ।