সেনা মোতায়েনে ইসি ও সরকারের দুই কথা : আমীর খসরু
নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা থাকলেও নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন একে অন্যকে দেখাচ্ছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
জোর করে ক্ষমতায় থাকতে জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা সেনাবাহিনী মোতায়েন চায় না বলে আভিযোগ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে গতকাল বিএনপি ইসিতে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে যারা দেশের মালিক (জনগণ) তাদের প্রত্যাশাগুলো আমরা নির্বাচন কমিশনে তুলে ধরেছি। এই দাবি বিএনপির নয়। আমরা নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের কথা বলেছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলছে, এটা সরকার করবে। অপরদিকে সরকার বলছে, নির্বাচন কমিশন চাইলে করতে পারে। আমরা তো জানি নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক অধিকার আছে যে, নির্বাচনের সময়ে তারা চাইলে দেশের যেকোনো সংস্থাকে কাজে লাগাতে পারে। সংবিধান তাদেরকে সে ক্ষমতা দিয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আরো বলেন, ‘ব্যালট বাক্স ভর্তির যে সংষ্কৃতি চালু হয়েছে, প্রতিপক্ষকে বিতাড়িত করে ভোট নেওয়ার যে প্রক্রিয়া চালু হয়েছে, সেই কারণে তো সেনাবাহিনীর প্রশ্ন আসছে। আজকে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনের সময়ে দেশের যেকোনো সংস্থাকে কাজে লাগাতে পারে। সংবিধান তাদেরকে এই ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার সেটা মানছে না। যখন সরকার সেটা মানবে না, সেখানে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে তো প্রশ্ন উঠে যায়। এরপর আমরা যখন দেখি (ইসি) ক্ষমতা থাকার পরেও তারা পিছু হঠতে থাকে তখন নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। আর যেখানে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে, সেখানে আপনি কোন নির্বাচনের কথা বলছেন?’
নির্বাচন নিয়ে সরকার আলোচনার সুযোগ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, ‘তারা (সরকার) সেই প্রেক্ষাপট বন্ধ করে দিচ্ছেন। কারণ তারা এটা চায় না। তারা জনগণকে বাইরে রেখে ক্ষমতায় থাকার জন্য প্রতিনিয়ত একটার পর একটা কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। এ কারণে বাংলাদেশের জনগণের ভোটের যে সুযোগ, সেই সুযোগটা তারা (সরকার) বন্ধ করে দিতে চায়!’
সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহী। সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।