নির্বাচনের প্রস্তুতি ও আন্দোলন একসঙ্গে চলবে : বিএনপি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ‘এ বছরের শেষে দেশে একটি নির্বাচন হবে। আর সেই নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করব। এবং তার আগে আন্দোলনের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও কারাগারে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা যাঁরা আছেন, তাঁদের মুক্ত করতে বন্দি মুক্তি আন্দোলন করব।’
‘তবে আমরা নির্বাচনকে বাদ দিয়ে শুধু আন্দোলনে যেতে চাই না। নির্বাচন প্রস্তুতি ও আন্দোলন একসঙ্গেই চলবে,’ যোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ছয় বছর এবং তাঁর সন্ধানের দাবিতে আয়োজিত যুব সমাবেশে আবদুল্লাহ আল নোমান এ কথা বলেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনী করার ফলে নির্বাচন অর্থবহ হবে না। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিও হয়নি। তাই আমাদের নিরপেক্ষ নির্বাচন সরকারের দাবি আদায় করে নিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে বা দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। এটাই আমরা চাই।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আসন্ন গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েন চাই। এটা আজ শুধু বিএনপি নয়, জাতীয় দাবিও।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আচরণ ও নির্যাতনের কারণে আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আমরা আর পেছনে যেতে পারব না। আমরা পেছনে গেলে আওয়ামী লীগ সামনের দিকে আসবে। আর আমরা সামনের দিকে এলে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আমরা সেই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিকে এড়িয়ে যেতে চাই। তাই আমরা বারবার আন্দোলন ও ভোটের কথা বলি। কিন্তু আমাদের আন্দোলন ভোট থেকে বিচ্ছিন্ন নয়।’