সকালে আটকের পর দুপুরে মৃত্যু
মাদক সেবন ও বিক্রির অভিযোগে ভোলা সদর উপজেলায় আটক এক ব্যক্তিকে সকালে আটক করে থানায় নেওয়ার পর দুপুরে তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, পুলিশি নির্যাতনে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, হৃদরোগ বা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কারণে ওই ব্যক্তি মারা যেতে পারেন।
নিহত কৃষ্ণপদ দাস (৫২) উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পণ্ডিতবাড়ির সুনীল দাসের ছেলে।
কৃষ্ণপদ দাসের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী চাতুর রাণী দাস ও ছেলে সুজন দাস অভিযোগ করেন, তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মঞ্জু মাতাব্বরের ছেলে জনি ওরফে রনি গাঁজা, ইয়াবার ব্যবসা করেন। তিনি গত মাসে কৃষ্ণপদকে মাদকের চালান বহনের জন্য চাপ দেন। কৃষ্ণপদ রাজি না হওয়ায় তাঁকে রনি শাসান বলেও অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
গতকাল শুক্রবার সকালে রনি কৃষ্ণপদকে আটক করে গাঁজাসহ ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পুলিশে দেয়।
সুজন দাস অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশি নির্যাতনের কারণে থানা হেফাজতে মৃত্যু হয়েছে আমার বাবার। অসুস্থ হওয়ার পর তড়িঘড়ি করে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ততক্ষণে বাবা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।’
স্থানীয় বিপুল দাস জানান, ‘মেম্বারের ছেলে রনিই কৃষ্ণপদকে প্রথমে ধরে আনেন। পরে ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ানুর রহমান বিপ্লব এসে পুলিশে সোর্পদ করেন।’
ভোলা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ফিরোজ জানান, কৃষ্ণপদকে আটক করে থানায় আনার সময় রনিও সঙ্গে আসেন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছগির মিয়া বলেন, ‘কৃষ্ণপদকে মাদকের চালানসহ ধরার পর থানায় আনা হয়। সেখানেই তিনি স্টোক করেন। তখন তাঁকে তাৎক্ষণিকভাবে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
‘কৃষ্ণপদ হৃদরোগ বা মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত কারণেই মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর সবকিছু পরিষ্কার হবে’, যোগ করেন ওসি।