দায়িত্বে অবহেলায় সুনামগঞ্জের নির্বাচন কর্মকর্তাকে বদলি
সুনামগঞ্জ পৌরসভা উপনির্বাচনে ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ নানা অভিযোগ ওঠায় এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোতালেবকে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের সময় বিভিন্ন অনিয়ম তদন্তের জন্য আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল সুনামগঞ্জ আসবে। তদন্ত দলের সদস্যরা হলেন যুগ্ম সচিব (আইন) সেলিম মিয়া, জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলাউদ্দিন ও জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শাহ্ আলম।
তবে নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোতালেব এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমাকে আমার অফিস বদলি করেছে, এটা স্বাভাবিক। তবে কেন করছে, তা আমি জানি না। এই তদন্তের সঙ্গে আমার বদলির কোনো সম্পর্ক নেই। আমাকে সুনামগঞ্জের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা থেকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত আঞ্চলিক কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়েছে।’
বদলির ওই চিঠিতে কী লেখা হয়েছে—জানতে চাইলে নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, ‘চিঠির সবকিছু বলা যাবে না, এটা অফিশিয়াল ব্যাপার। আমি এত দিন অপেক্ষায় ছিলাম তদন্ত কমিটির। কারণ, তদন্তের স্বার্থে কমিটি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে আমার বক্তব্য নেবে। আমি অফিস আদেশ মান্য করে মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জ ছেড়ে চলে এসেছি। আগামী ১৫ ও ১৬ তারিখ তদন্ত দল সুনামগঞ্জে আসবেন, আমিও তখন আসব।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায় জানান, নির্বাচন কমিশন থেকে যাকেই বদলি করা হয় স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়। সেই হিসেবে জেলা নির্বাচন অফিসার কর্মকর্তাকেও স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে। তাঁর পরিবর্তে মো. উদ্দিন হাওলাদারকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৯ মার্চ সুনামগঞ্জ পৌরসভা উপনির্বাচনে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নাদের বখ্ত ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান গণিউল সালাদীন এবং বিএনপি প্রার্থী দেওয়ান সাজওয়ারা রাজা চৌধুরী সুমন বিকেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা পৌরসভার ২৩ কেন্দ্রে জাল ভোট, ব্যালট পেপার ছিনতাই, ভোটকেন্দ্র দখল এবং এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান গণিউল সালাদিন এবং বিএনপি প্রার্থী দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমন নির্বাচন বর্জন করেন।