শাহরীন বাড়ি গেলেন, অ্যানি যাবেন আগামী সপ্তাহে
নেপালের কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শাহরীনকে আজ সকালে ছাড়পত্র দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ দুর্ঘটনায় আহত অ্যানিকে আগামী সপ্তাহে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক এবং বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. সামন্তলাল সেন জানান, শাহরীনের হাতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি হাসপাতাল ছেড়ে যাবেন। ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যে চামড়া লাগানো হয়েছিল, তা শুকিয়ে গেছে। তিনি পুরোপুরি সুস্থ আছেন। তবে দুই সপ্তাহ পরে আবার ফলোআপে আসতে হবে।
এদিকে বিমান দুর্ঘটনায় আহত অ্যানির অবস্থাও ভালো। আগামী সপ্তাহে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
ডা. সামন্তলাল সেন আরো জানান, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন কবির হোসেনের ডান পা কাটা হলেও বাঁ পায়ের ইনফেকশন কন্ট্রোল করতে পারছেন না।
তবে এ ঘটনায় আহত হাসি ও রেজোয়ান মোটামুটি ভালো আছেন। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা এ খবর জানিয়েছেন।
এদিকে দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতাল ছাড়েন শাহরীন। এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। আমরা যাঁরা বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বেঁচে আছি, তাঁদের জন্য দোয়া করবেন আপনারা। আমরা যেন আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।’
এ সময় শাহরীনের সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা ফেরদৌসী মোস্তাক। তাঁকে নিয়ে সরাসরি বারিধারা ডিওএইচএসে বর্তমান ঠিকানায় যাচ্ছেন তিনি।
গত ২১ মার্চ ঢামেকে শাহরীনের অস্ত্রোপচার হয়। পরে তাঁকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। শাহরীনের ঊরু থেকে নিয়ে শরীরের ক্ষত জায়গায় পুরোপুরি নতুনভাবে চামড়া প্রতিস্থাপন করা হয়।
বিমান দুর্ঘটনার তিন দিন পর ১৫ মার্চ বিকেলে শাহরীনকে নেপাল থেকে ঢাকায় নিয়ে আসার হয়। তাঁর শরীরের ৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।