নির্বাচনী আচরণবিধিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে : সিইসি
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সংসদ সদস্যদের ক্ষমতা কমাতে নির্বাচনী আচণরবিধিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
আজ শনিবার প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ-পিআইবি আয়োজিত তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এ কথা বলেন।
কে এম নূরুল হুদা বলেন, নির্বাচনের সময় সরকারের কাঠামো কেমন হবে এটি কমিশনের দেখার বিষয় নয়। তবে পদে থেকে নির্বাচন করার ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে আচরণ বিধিমালায় পরিবর্তন আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে কমিশন।
সিইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের জন্য আগামী সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করাটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ সব দল অংশ না নিলে নির্বাচন ভালো হবে না। তবে কমিশন নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচন করবে।
নূরুল হুদা বলেন, সংসদ নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে না। তবে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।
সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড কিভাবে সম্ভব-এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, কিছু কিছু জিনিস আছে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। সরকারের কাঠামো কেমন হবে, নির্বাচনের সময় সরকার কী রকম হবে- এগুলো সম্পূর্ণ সরকারের বিষয়। নির্বাচন কমিশনের বিষয় না। কী রকম সরকার হবে না হবে সেটা নিয়ে আমরা কিছু করতে পারব না।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে নির্বাচন কমিশন কী ভূমিকায় থাকবে জানতে চাইলে নূরুল হুদা বলেন, এটা দুঃখজনক হবে যদি আগের মতো হয়। সব দল নির্বাচনে না এলে সে নির্বাচন ভালো নির্বাচন হয় না। আমরা প্রত্যাশা করতে পারি। এক্ষেত্রে মিডিয়ার ভূমিকা আছে।
এ সময় সিইসি আরো বলেন, আমরা নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করব সে ব্যাপারে আমাদের দৃঢ়তা আছে। কিন্তু সব দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা জরুরি। আমি এখনও আশা করি সব দল অংশগ্রহণ করবে।