গাছে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ, আটক ২
সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে বাড়ির আঙিনায় গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী কাবিদ ওরফে কাবিল ও ভাশুর হাবিদ ওরফে হাবিলকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের দহাকুলা গ্রামে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ আনোয়ারা খাতুনকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, যৌতুকসহ নানা কারণে স্বামী কাবিল তাঁর স্ত্রী আনোয়ারাকে প্রায়ই মারধর করতেন। সকালে ভাত খাওয়া নিয়ে আবারও তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় তাঁর স্বামী ও ভাশুর তাঁকে গালাগাল দেন। ক্ষোভে ও দুঃখে আনোয়ারা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হাবিল ও কাবিল তাঁকে তাঁদের বাড়ির উঠানে একটি আমগাছে রশি দিয়ে বেঁধে লাঠি, রড ও ঝাঁটা দিয়ে মারধর শুরু করেন। গৃহবধূর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলেও হাবিল-কাবিলের ভয়ে তাঁকে কেউ মুক্ত করতে সাহস করেনি। এক পর্যায়ে স্থানীয় ইউনিয় পরিষদ (ইউপি) সদস্য কামরুল ইসলাম ওই বাড়িতে পৌঁছে পুলিশে খবর দেন। তিনি পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁর বাঁধন খুলে তাঁকে মুক্ত করে দেন। পরে তাঁকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকে ব্রহ্মরাজপুর পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী পরিদর্শক (এসআই) অচিন্ত্য কুমার বলেন, ‘স্বামী ও তাঁর ভাইকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি স্বামী ও স্ত্রীর বিরোধের ব্যাপার। দেখা যাক কী করা যায়।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম জানান, দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।