ড্রয়ার ভেঙে নেওয়া টাকা ফেরত দিল পুলিশ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানা পুলিশের এক সোর্স তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছেন। সোর্সের কথা মতো দুই ব্যক্তিকে আটক ও একজনের ড্রয়ার ভেঙে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ ও উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, কিছুদিন আগে এলাকায় ডলার প্রতারণাকারী একটি চক্রকে বাধা দেন বিরুনিয়া গ্রামের ফুল মামুদ ও শফিকুল ইসলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতারক চক্র ওই দুইজনকে ফাঁসানোর হুমকি দেন। এতে যোগ দেয় মুক্তাগাছা থানা পুলিশের এক সোর্স। সেই সোর্সের কথা মতো মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ বিরুনিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। সোর্সের কথা অনুযায়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুজাহিদ ওই গ্রামের ফুল মামুদের বাড়িতে ঢুকে তাঁর ড্রয়ার ভেঙে ৫৫ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে যান। পরে ফুল মামুদ ও শফিকুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন তিনি। অভিযানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন চৌকিদার নরেশ।
খবর পেয়ে দুপুরে থানায় আসেন মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কাশিমপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন। তিনি বলেন, মামুদ ও শফিকুল তাঁর প্রতিবেশী। তাঁরা সহজ-সরল মানুষ। তাঁরা বিএনপির সমর্থক। তাঁদের হয়রানি করতে অভিযান চালানো হয়েছে এবং ড্রয়ার ভেঙে টাকা নেওয়া হয়েছে। আমি দুপুরে গিয়ে তাঁদের থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। পুলিশ ড্রয়ার ভেঙে নেওয়া টাকা ফেরত দিয়েছে।
মুক্তাগাছা থানার ওসি আলী আহমেদের দাবি, সোর্স পুলিশকে ভুল বুঝিয়েছে। তাঁদের দুজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছিল। পরে চেয়ারম্যানের জিম্মায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং টাকাও ফেরত দেওয়া হয়েছে।