সরকার প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আজ সোমবার তাঁর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এম এন জিয়াউল আলম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, দক্ষিণ এশীয় নির্বাচন ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলোর ফোরামের প্রস্তাবের সঙ্গে সমন্বয় করেই দিবসটি পালন করা হবে।

জিয়াউল আলম বলেন, ‘সার্ক অঞ্চলের প্রত্যেক দেশই ভোটারদের জন্য তাদের নিজস্ব জাতীয় দিবস পালন করে থাকে।’

দিবসটি ‘খ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে উল্লেখ করে জিয়াউল আলম বলেন, ‘জনগণকে, বিশেষ করে তরুণদের গণতন্ত্র, নির্বাচন এবং তাদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দিবসটি পালন করবে।’

জিয়াউল আলম বলেন, ‘জাতীয় জীবনে গুরুত্ব অনুধাবন করে সরকার দিবসটি পালনের জন্য মার্চ মাসকে নির্ধারণ করেছে।’

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকের আগে বাংলাদেশ কোডের মোড়ক উন্মোচন করেছেন।

এন এম জিয়াউল আলম বলেন, ‘এটি ৪২টি খণ্ডে এই অঞ্চলের ১৭৯৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত আইনের ধারাবাহিক প্রকাশনা। বাংলাদেশ ল’স ডিভিশন অ্যান্ড ডিকলারেশন অ্যাক্ট- ১৯৮৩-এর আওতায় সরকার বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করল।’

জিয়াউল হক জানান, সরকার ১৯৮০ সালে প্রথম ১২টি খণ্ডে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত আইনগুলোর বাংলাদেশ কোড প্রকাশ করে।