লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাড়বে প্রবৃদ্ধির হার, আশা অর্থমন্ত্রীর
চলতি বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য মাত্রা ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হলেও তা বেড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ দাঁড়াবে বলে প্রত্যাশা করছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। মন্ত্রী বলেন, দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধির এই আশা করছেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের মেঘনা ইকোনমিক জোনের আটটি শিল্পকারখানা উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘গত ১০ বছর ধরে আমরা একটা উন্নয়নের ধারা এই দেশে বহাল করেছি। এইটা গ্রোয়িং অ্যান্ড কনসিসটেন্ট। এই কথাটা বলার উদ্দেশ্য হলো অনেক সময় হয় কি গ্রোথ এক বছরে হলো সাত পারসেন্ট। তারপরে চলে গেলো চার পারসেন্ট। ইটস নট আ কনসিসটেন্ট গ্রোথ, এটা সাসটেইনেবল নয়। সাসটেইনেবল হওয়ার জন্য আমাদের গ্রোথটি গত ২০ বছরে আমরা ছয় পারসেন্টের উপরেই আমাদের দেশের গ্রোথ পেয়েছি। এবং গত ১০ এই গ্রোথ হয়েছে ৬ পয়েন্ট ৭ পারসেন্টের মতো। আমরা দুই বছর আগে ৭ পারসেন্টে পৌঁছে যাই। এবারে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা আছে ৭ পয়েন্ট ৪ শতাংশ। কিন্তু আমরা আশা করছি হয়তো এটা ৭ পয়েন্ট ৫ শতাংশ হবে। আগামী বছর আমরা অত্যন্ত সাবধানতার সঙ্গে যে টার্গেট আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার চিন্তা করছি সেটি হচ্ছে ৭ পয়েন্ট ৮ পারসেন্ট। তবে আমি এটা বিশ্বাস করি যে আমরা যেভাবে কনসিসটেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবল উপায়ে যাচ্ছি তাতে হয়তো এই টার্গেটও আমরা আগামী বছরে অতিক্রম করে যাবো।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ অন্যরা।
নিজের বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হতে যাচ্ছে। এ সময় তিনি ভালো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে মেঘনা গ্রুপের প্রশংসা করেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৩-১৪ সালে বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে সাধারণ মানুষ হত্যা করেছিল, নির্বাচন বাতিল করার ষড়যন্ত্র করে একটানা ৯৩ দিন হরতাল অবরোধ করেও সফল হয়নি। এবারো তারা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, কিন্তু তারা সফল হবে না বলেও মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল তাঁর স্বাগত বক্তব্যে জানান, তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে আটটি নতুন শিল্পে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া নির্মাণাধীন আরো ১০টি কারখানায় প্রায় ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান তিনি। চীন, অস্ট্রেলিয়া এবং জার্মানির শিল্পোদ্যাক্তারাও বিনিয়োগ করার জন্য এগিয়ে আসছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠান শুরুর আগেই তিন মন্ত্রীসহ বিশিষ্টজনেরা নতুন শিল্পকারখানা পরিদর্শন করেন।