ময়মনসিংহে ঝড়, শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি-ফসলের ক্ষতি
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে কয়েকটি ইউনিয়নের ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোর মধ্যে রয়েছে আমতৈল, ধারা ও ধুরাইল।
আজ শুক্রবার বিকালে এ শিলাবৃষ্টির ঘটনা ঘঠেছে। এতে শিলাবৃষ্টিতে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিনষ্ট ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জেও ঝড়, শিলাবৃষ্টি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে বোরো ও ইরি ধানের রেনু নষ্ট হয়েছে।
হালুয়াঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ খান বলেন, হালুয়াঘাটের তিন ইউনিয়নে কয়েক হাজার টিনের ঘরবাড়ি ও সবজি বিনষ্ট হয়েছে। তার নিজের ও ভাইদের টিনের চাল ছিদ্র, বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ময়মনসিংহের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসেন বলেন, ঈশ্বরগঞ্জে দুই শতাধিক এবং হালুয়াঘাটে তিন শতাধিক টিনের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই উপজেলাতেই শিলাবৃষ্টিতে বোরো ও ইরি ধান নষ্ট হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা ময়মনসিংহের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হোসেন। তিনি বলেন, ঈশ্বরগঞ্জে দুই শতাধিক এবং হালুয়াঘাটে তিন শতাধিক টিনের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হালুয়াঘাটের কৃষি কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বলেন, ফসলের ক্ষতির পরিমাণ কাল সরেজমিন পরিদর্শন শেষে বলা যাবে।
হালুয়াঘেটের সোয়ারিকান্দা গ্রামের মোজাম্মেলের দুটি ঘর ও এক একর জমির ধান, আমতৈল গ্রামের নুরুল আমিনের ৬টি ঘর বিনষ্ট হয়েছে। হারেজ আলীর পাঁচটি ঘর ও তার সাড়ে নয় একর ধানের জমি বিনষ্ট হয়েছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ছাড়া ঝড়ে অনেকের ঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে। টিনের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে। এরকম অনেকেরই ঘর ও আবাদি ফসল বিনষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন অধিকাংশ মানুষের ঘরের চাল নেই।
জেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক ড. শুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।