সাতক্ষীরায় গণতদন্ত কমিটি গঠিত
সাতক্ষীরার বিচারিক হাকিম নুরুল ইসলামের বাসা থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ বছর বয়সী গৃহকর্মী বীথি খাতুনকে উদ্ধারের ঘটনায় গণতদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে মুক্তিযোদ্ধা ও সাতক্ষীরার সাবেক পৌর কমিশনার হাসনে জাহিদ জজকে আহ্বায়ক করে ৯ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয়। গত রাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের কৃষ্ণচূড়া চত্বরে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে এক সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আগামী ৩০ আগস্ট সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করবে কমিটি। এ ছাড়া নাগরিক সমাজের আহ্বানে আগামীকাল মঙ্গলবার জেলা জজ আদালতের সামনে শহীদ কাজল সরণিতে এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি পালন করা হয়। একইসঙ্গে এই নির্যাতনের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলেও জানানো হয়।
গণতদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা কাজী রিয়াজ, মানবাধিকারকর্মী মাধব দত্ত, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শাহনাজ পারভিন মিলি, নারী নেত্রী নাসরিন খান লিপি, ঝাউডাঙা কলেজের প্রভাষক মো. ইদ্রিস আলী, শ্রমিক নেতা শেখ হারুনার রশীদ, রাজনীতিবিদ শেখ ওবায়দুস সুলতান বাবলু ও দৈনিক দক্ষিণের মশাল পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ আলম, সাংবাদিক সুভাষ চৌধুরী, কল্যাণ ব্যানার্জি , মো. কামরুজ্জামান এবং প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল।
গত বুধবার সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নুরুল ইসলামের বাসা থেকে বীথি (১০) নামের এক শিশুকে উদ্ধার করে পুলিশ। বীথি নুরুল ইসলামের বাসায় কাজ করত। পুলিশ বীথির গায়ে পোড়া, ছ্যাঁকা ও আঘাতের ৩০টির বেশি চিহ্ন পেয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিনই মেয়েটির ওপর নির্যাতন করা হয়। বীথিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সদর থানা পুলিশ। বর্তমানে বীথি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শিশুটির ওপর নির্যাতনের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর ২০ আগস্ট অভিযুক্ত হাকিম নুরুল ইসলামকে আমলি আদালত থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।