বিয়ের পরের দিন স্বামীকে পিটুনি, চারদিন পর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নববধূ ও তাঁর প্রেমিকের মারপিটে আহত আবদুল মজিদ (২১) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় নববধূ আল্পনা খাতুনকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার রাতে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মজিদ।
এর আগে গত শনিবার ২৪ মার্চ রাতে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন হাট চৌবিলা গ্রামে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। নিহত মজিদ ওই হাট চৌবিলা গ্রামের মৃত আবু হানিফের ছেলে।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওহেদুজ্জামান জানান, শুক্রবার হাট চৌবিলা গ্রামের আবদুল মজিদের সঙ্গে চৌবিলা চকপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের মেয়ে আল্পনা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পরের দিন শনিবার নববধূসহ শ্বশুরবাড়িতে যান মজিদ। ওই দিন রাতে নববধূ আল্পনা ও তাঁর প্রেমিক পরিকল্পিতভাবে মজিদকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যান। পরের দিন সকালে একটি বাঁশঝাড়ের পাশে মজিদকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সময় আবদুল মজিদ। ছবি : এনটিভি
ওসি আরো বলেন, আবদুল মজিদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখম রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত মজিদের মরদেহ সলঙ্গায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে আবদুল মজিদের মৃত্যুর পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে নববধূ আল্পনাকে আটক করে থানা হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত আবদুল মজিদের বড় ভাই আবদুল মমিন জানান, ২৪ মার্চ রাতে আল্পনা ও তাঁর প্রেমিক মিলে তাঁর ছোট ভাই আবদুল মজিদকে পিটিয়ে বাঁশঝাড়ের পাশে ফেলে রাখে। তিনি মজিদ হত্যার বিচার চান।