নির্বাচনী মাঠে খেলেই আ. লীগ জিততে চায় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারামুক্ত হয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন, তা আমরাও চাই। কারণ খালি মাঠে গোল দিতে চাই না। নির্বাচনী মাঠে খেলেই আমরা জিততে চাই।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ নাসিম এই কথা বলেন। সেখানে তিনি ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের উদ্বোধন করেন।
১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের দল বিএনপিকে জনগণ আর ভোট দেবে না। এ দেশের জনগণ ঘাতকদের আর ক্ষমতায় আসতে দেবে না।
২০১৮ সালের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ নির্বাচনে ভোটের বাক্সে ভুল করলে আবার জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। ঘাতকেরা ক্ষমতায় এসে কৃষক-শ্রমিক ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে খুন করবে।
বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম বলেন, ‘আন্দোলন করার ক্ষমতা আপনাদের নাই। নেত্রী জেলে থাকলেও আপনাদের একজন লোকও মাঠে নামেনি। আমরা আন্দোলন করেছি, জেল খেটেছি। মার খেয়েছি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কী করেছিলেন, তা আমরা দেখেছি। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয় মন্তব্য করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘যখন বিএনপি ক্ষমতায় ছিল লোডশেডিংয়ের বাংলাদেশ ছিল। বিদ্যুৎ আর সারের জন্য কৃষককে গুলি খেয়ে মরতে হয়েছে। আর শেখ হাসিনা মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন। এখন কৃষককে সারের পেছনে দৌড়াতে হয় না।’
রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিন্নাজ আলমাজির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার শরিফ উল আলম শরিফের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য গাজী ম ম আমজাদ হোসেন মিলন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য, সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ আব্দুল হান্নান খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ হায়দার লিটন, রায়গঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান, রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অধ্যক্ষ গাজী রেজাউল করিম তালুকদার, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুইট, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হক, সলঙ্গা থানা সভাপতি রায়হান গফুর প্রমুখ।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রায়গঞ্জ উপজেলা সদরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বাস্তবায়িত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুন নাহার সিদ্দীকা, পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ, সিভিল সার্জন ডা. কাজী শামীম হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান মোল্লা ও নির্বাহী প্রকৌশলী জাকির হোসেন, সিরাজগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. তারিকুল ইসলাম প্রমুখ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রায়গঞ্জ পৌরসভার ১২ বিঘা জমির ওপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করেন।