চাঁদা না দেওয়ায় নববধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ!
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় চাঁদা না দেওয়ায় এক নববধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রায়পুরা উপজেলার ডৌকারচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) একটি কক্ষে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় গতকাল রাতে নববধূর স্বামী বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন।
পুলিশ ও নববধূর পরিবার জানায়, গত ১৪ মার্চ ওই দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। মঙ্গলবার রাতে নবদম্পতি নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকলে রাত প্রায় ২টার দিকে স্থানীয় ফারুক ওরফে ইয়াবা ফারুকের নেতৃত্বে অলি মিয়া, স্বপন, আলম ও আনোয়ারসহ সাত-আটজন নিয়ে তাদের ঘুম থেকে ডেকে তুলেন। সে সময় তাঁরা ওই নবদম্পতির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। নতুবা তাঁর স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাবে বলে ভয় দেখান। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁরা উত্তেজিত হয়ে নবদম্পতির ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেন। পরে ভয়ে ১০ হাজার টাকা দিলে তাঁরা ওই নববধূকে জোর করে তুলে নিয়ে যান এবং বাকি ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করলে স্ত্রীকে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন। নববধূকে তাঁরা রাতে স্থানীয় ফারুকের বাড়িতে রাখেন। পরে ভোরে স্থানীয় ডৌকারচর ই্উনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে যান। তাঁদের সঙ্গে থাকা অলি মিয়া নববধূটিকে ধর্ষণ করেন।
নববধূর স্বামী রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির করে না পেয়ে সকালে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার দুপুরের দিকে ডৌকারচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নববধূকে উদ্ধার করে রায়পুরা থানার নারী সহায়তা ডেস্কে রাখে। পরে রাতে নববধূর স্বামী বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় পাঁচজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দোলোয়ার হোসেন জানান, আজ সকালে নববধূকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নববধূর স্বামী রায়পুরা থানায় একটি মামলা করেছেন। এই ঘটনায় কাউকে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।