ইউনাইটেড হাসপাতালকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা
মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট ব্যবহার, অনুমোদনহীন এজেন্ট থেকে ওষুধ কেনাবেচা ও ব্যবহারের দায়ে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে র্যাবের ভ্রম্যমান আদালত। একই সঙ্গে হাসপাতালটিকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে তারা।
আজ বুধবার দুপুর ১২টা থেকে অভিযান চালিয়ে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে জরিমানাসহ ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম।
সারোয়ার আলম এনটিভি অনলাইনকে বলেন, রোগ নির্ণয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট (পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যবহৃত) ব্যবহার, অবৈধ ও অনুমোদনহীন ওষুধ কেনা-বেচার ও ব্যবহারের দায়ে ইউনাইটেড হাসপাতালকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার সঙ্গে হাসপাতালটিকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এই ১৫ দিনের মধ্যে যদি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, সুচার ও কেমিক্যালসহ যাবতীয় উপকরণ সরিয়ে না ফেলে তাহলে হাসপাতালের আইএসও (আন্তর্জাতিক মান সংস্থা) সনদ বাতিলের সুপারিশ করা হবে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিলো রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল এবং এ্যাপোলো হাসপাতাল এসব মেয়াদোত্তীর্ণ কেমিক্যাল ও অনুমোদনহীন ওষুধ ব্যবহার এবং অবৈধ ওষুধ বিক্রির কাজে জড়িত ছিল। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি আমরা এ্যাপোলো হাসপাতালকে জরিমানা করেছিলাম। আজ এদের করা হলো। আরো কিছু হাসপাতালের বিরুদ্ধে আমরা দ্রুতই অভিযান পরিচালনা করব।’
অভিযানে উপস্থিত থাকা ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মনির হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ল্যাব থেকে জব্দ করা কেমিক্যালের মধ্যে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইডের একটি ব্যবহৃত জার ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মেয়াদ শেষ হয়। যেটা প্যাথলজিক্যাল টেস্টের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগে। জব্দ করা পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইডের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট। নিয়মানুযায়ী এসব জারে এটি খোলার দিন তারিখ উল্লেখ থাকার কথা। কিন্তু সেটাও মানা হয়নি।
মনির হোসেন আরো বলেন, এক কেজির সোডিয়াম ক্লোরাইডের একটি পুরোনো জার উদ্ধার করা হলেও এটি খোলার কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ লেখা ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো দিয়েই দীর্ঘদিন টেস্টের কাজ চালাতো ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালটির দ্বিতীয় তলার প্যাথলজি ল্যাব ও হেমাটোলজি ল্যাবে অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কার কাছ থেকে ওষুধ আমদানি ও কিনে সেসব দেখা হয়।