অস্থায়ী গেটম্যানের অসতর্কতায় রেলগেটে দুর্ঘটনা!
ফেনীতে যেখানে ট্রেনের ধাক্কায় কাভার্ডভ্যানের তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন, সেই রেলগেট এলাকাটি ব্যস্ত হলেও সেখানে কোনো স্থায়ী গেটম্যান ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এর ফলে রাতের আঁধারে গেট খোলা পেয়ে কাভার্ডভ্যানটি রেললাইনের কাছে চলে যায়, যার ফলে দুর্ঘটনায় ঝরে পড়ে তিনটি প্রাণ। হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন আরো তিনজন।
আজ বুধবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে ফেনীর ফতেহপুর রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে সকালে এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন ফেনী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মাহবুবুর রহমান।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্টেশন মাস্টার জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফতেহপুর এলাকা অতিক্রমের সময় একটি কাভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এ সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
‘তবে এ ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’
আহতদের ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান মাহবুবুর রহমান।
স্থানীয় দুজন ব্যক্তি, যাদের বয়স পঞ্চাশোর্ধ, তাঁরা জানান, স্থানীয় লোকজন দিয়ে দৈনিক ভিত্তিতে এই রেলগেটে গেটম্যানের কাজ করানো হয়। এখানে নিয়োগপ্রাপ্ত কোনো গেটম্যান নেই। যারা এখানে দায়িত্ব পালন করেন, তাঁদের এসব কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। গরিব লোকজন এই কাজ করে থাকেন। হয়তো রাতে ঘুমিয়ে থাকায় গেট বন্ধ করেননি গেটম্যান। আর এ জন্য দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
ফেনীর কর্মরত রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্ঘটনাটি ভোর রাতে ঘটেছে। সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আমরা ধারণা করছি যে, গেটম্যানের অসতর্কতা ছিল।’
‘লোকাল গাড়িগুলো যেসব চলে, এই ড্রাইভারদের অনেক তাড়াহুড়া থাকে। এরা গেট ফালানোর পড়ও অনেক সময় দেখা যায় সেটা ক্রস করে চলে যায়।’
দুর্ঘটনা কারণ হিসেবে প্রকৌশলী বলেন, ‘আমাদের গেটম্যান পলাতক আছেন। তিনি আমাদের অস্থায়ী গেটম্যান। তাঁকে পাওয়া গেলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।’