শেষ শয্যায় প্রিয়ক-প্রিয়ন্ময়ী
বহু জল্পনা-কল্পনা আর অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে গতকাল সোমবার বাড়ি ফিরেছিলেন গাজীপুরের শ্রীপুরের আলোকচিত্রী ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও তাঁর মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামারা। আর আজ মঙ্গলবার তাঁদের শেষ শয্যায় রেখে এলেন স্বজনরা।
আজ সকাল ৯টায় শ্রীপুরের আবদুল আউয়াল কলেজ মাঠে বাবা-মেয়ের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর নগরহাওলা গ্রামে বেলা ১১টায় হয় চতুর্থ জানাজা। এর আগে ওই দুর্ঘটনায় নিহত ২৩ জনের প্রথম জানাজা হয় নেপালে এবং দ্বিতীয় জানাজা হয় রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে।
শ্রীপুরে প্রিয়ক-প্রিয়ন্ময়ীর দুটি জানাজাতেই আজ হাজারো মানুষের ঢল নামে। আশপাশের এলাকার সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন বিমান বিধ্বস্তে নিহত এই বাবা-মেয়ের জানাজায় অংশ নিতে।
প্রিয়ক-প্রিয়ন্ময়ীর জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সোহেল রানা, তেলিহাটি ইউপি চেয়ারম্যান আ. বাতেন সরকার ও কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম।
এর আগে প্রিয়কের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আবদুল আউয়াল কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাখা হয় বাবা-মেয়ের মরদেহ। সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান সর্বস্তরের মানুষ।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুতে ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ। এ সময় আহত হন ফারুক হোসেন প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি, ফারুকের মামাতো ভাই মেহেদী হাসান মাসুম ও মাসুমের স্ত্রী কামরুন নাহার স্বর্ণা। ওই উড়োজাহাজে ক্রু, যাত্রীসহ মোট ৭১ আরোহী ছিলেন বিমানে। তাঁদের মধ্যে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হন।