নেপালে নিহত প্রিয়কের বাড়িতে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ
নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহত ফারুক হোসেন প্রিয়কের বাড়িতে গিয়ে স্বজনদের সমবেদনা জানিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ।
আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরের প্রিয়কের বাড়িতে যান ইউএস-বাংলার নির্বাহী পরিচালক এয়ার কমান্ডার (অব.) মো. গোলাম তাওহীদ ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান। তাঁরা প্রায় ঘণ্টা খানেক প্রিয়কের বাড়িতে অবস্থান করেন।
এসময় প্রিয়কের মা ফিরোজা খাতুন বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বিমান বিধ্বস্তে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আলমুন নাহান অ্যানি, ভাতিজা মেহেদী হাসান ও তাঁর স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণাকে দেখতে গিয়েছিলেন।
এসময় মেহেদী হাসানের বাবা তোফাজ্জল হোসেন, অ্যানির বাবা সালাহ্ উদ্দিন মাহমুদ খসরুর সঙ্গে কথা বলেন কর্মকর্তারা।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত প্রিয়ক ও তাঁর ছোট্ট শিশু কন্যা প্রিয়ন্ময়ী তামাররা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে এসেছি। ইউএস-বাংলা পর্যায়ক্রমে বিধ্বস্ত বিমানের সকল যাত্রী, পাইলট ও ক্রুদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানাবে।’ তিনি আরো বলেন, আহত অবস্থায় যারা আছেন তাদের যাবতীয় সুচিকিৎসা ইউএস বাংলা-এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বহন করবে।
মরদেহগুলো আনতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে জানিয়ে কামরুল বলেন, আগামী ১৯ মার্চের পর বলা যাবে মরদেহগুলো কবে আসবে। তিনি বলেন, কাঠমান্ডুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহগুলোর যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নেপাল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে। পরে নেপালের পুলিশ বাংলাদেশ দূতাবাসে মরদেহগুলো বুঝিয়ে দিলে দূতাবাস বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে। পরে বাংলাদেশের পুলিশের কাছ থেকে লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ওই বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এতে এ পর্যন্ত ৫১ জনের নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে।