নেপালে আহত রোবায়েত অন্যদের চেয়ে ভালো আছেন
নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় আহত শেখ রশিদ রোবায়েতের পাঁজরে চিঁড় এবং পায়ে কিছুটা ক্ষত রয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোবায়েতকে পর্যবেক্ষণের পর একথা জানিয়েছেন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ শনিবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে আহত রোবায়েতকে নেপাল থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়। এরপর বিকেল ৪টা ১১ মিনিটে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয় তাঁকে। সেখানে তাঁকে হাসপাতালের পক্ষে গ্রহণ করেন সামন্ত লাল সেন। সরাসরি রোবায়েতকে নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচ তলার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের কেবিন ব্লকে। শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা।
পরে রোবায়েতের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘রোবায়েতের পাঁজরে ফ্রাকচার আছে। পায়েও ইনজুরি আছে।’
তবে একই দুর্ঘটনায় আহত অন্য যে চার রোগী বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন তাঁদের চেয়ে রোবায়েতের অবস্থা ভালো বলেও জানান এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, রোবায়েতের সঙ্গে থাকা কাগজপত্র অনুযায়ী তাঁর ফুসফুসে কিছু সমস্যা আছে। তবে প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে সমস্যা নেই, তিনি ভালোই আছেন।
আগামীকাল রোববার রোবায়েতসহ বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় গঠিত ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা পর্যবেক্ষণ করবেন বলেও জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।
ওই দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অন্য চারজন হলেন-শেহরিন আহমেদ, মেহেদী হাসান, মেহেদী হাসানের স্ত্রী সাইদা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদী হাসানের ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি। অন্যদিকে, আরেক আহত ডা. রেজোয়ানুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হয়েছে।
গত ১২ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমানটি। ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৫১ জন নিহত হয়েছেন। বিমানটিতে ৭১ আরোহী ছিলেন।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা জানতে নেপাল ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের দাবি, কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে ভুল নির্দেশনা দেওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।