চৌহালীতে তীর সংরক্ষণ বাঁধে আবার ধস
সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় যমুনা নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে আবারও ধস নেমেছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার মধ্য খাসকাউলিয়া অংশে ৩০ মিটার এলাকা বিলীন হয়। ধসে যায় পাথরের বোল্ডসহ জিও টেক্স।
১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই বাঁধে শুষ্ক মৌসুমে এমন ধস স্থানীয়দের আতঙ্কে ফেলেছে। কাজে নিম্নমান, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রায় সমাপ্তির দিকে যাওয়া বাঁধটিতে বিভিন্ন সময় ধস দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, ধস ঠেকাতে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
খাস কাউলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদ হোসেন জানান, ২০১৫ সালে যমুনা নদীর ভাঙন থেকে টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও চৌহালী রক্ষায় ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সাত কিলোমিটার নদী তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু হয়। বাঁধটির প্রায় ৯৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ অবস্থায় গত বছরের ২ মে প্রথম ধস নামে। এরপর ১৬ মে, ৮ ও ২৩ জুন, ৩, ৭, ১৯, ২০, ২১ ও ২৩ জুলাই প্রকল্পটির বিভিন্ন অংশে ধস নামে। খাস কাউলিয়া এলাকায় আজ সকাল অন্তত ৩০ মিটার এলাকায় আবারও ধস দেখা দেয়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাউবোর গাফিলতির কারণে বারবার এ ধস নামছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
পাউবো ও এলাকাবাসী জানায়, চৌহালী উপজেলা সদরে পৌনে চার কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইলের সোয়া তিন কিলোমিটার মিলে সাত কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ১০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। এই টাকা দিয়ে ভাঙনের রশি টেনে ধরতে নদীর পূর্ব পাড়ের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সরাতৈল থেকে দক্ষিণে নাগরপুর উপজেলার পুকুরিয়া, শাহজানীর খগেনের ঘাট, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দিন মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া পর্যন্ত সাত কিলোমিটার ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর সংরক্ষণ বাঁধের কাজ শুরু হয়। যার ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
টাঙ্গাইল পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, নতুন করে ধসের বিষয়টি তাঁরা জানতে পেরেছেন। ধসের পরিধি ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি ফোন কেটে দেন।