নেপালে আহত তিনজন শঙ্কামুক্ত নয় : চিকিৎসক
নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় আহত তিনজন শঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁরা হলেন মেহেদী হাসান, তাঁর স্ত্রী সাইদা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও মেহেদী হাসানের ফুফাতো ভাইয়ের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি।
আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে তিনজনকে ভর্তি করা হয়। দুর্ঘটনার পর তাঁরা কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। আগামী রোববার আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে বলে জানানো হয়।
তিনজনকে দেখার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, মেহেদী হাসানের ঘাড়ে আঘাত, হাত কাটা ও পায়ে ফ্র্যাকচার রয়েছে। তাঁর স্ত্রী সৈয়দা কামরুন্নাহার স্বর্ণার পেটের বাঁ পাশে ব্যথা ও শ্বাসনালী দগ্ধ রয়েছে। আর অ্যানির ডান পায়ে ফ্র্যাকচার ও শ্বাসনালী দগ্ধ রয়েছে।
সামন্ত লাল সেন জানান, বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর কালো ধোঁয়া স্বর্ণা ও অ্যানির শ্বাসনালীতে ঢোকার কারণে তাদের শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে।
সবারই সাইকোলজিক্যাল ট্রমা রয়েছে উল্লেখ করে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘তিনজনের মধ্যে কাউকেই শঙ্কামুক্ত বলা যায় না। তাদের প্রাথমিকভাবে দেখা হয়েছে। আগামীকাল বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তাদের শারীরিক অবস্থা বিস্তারিত জানা যাবে।’ তাদের পুরোপুরি সুস্থ হতে আরো ৬-৭ সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
গত ১২ মার্চ দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ৭১ জন আরোহী নিয়ে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে ইউএস বাংলার ড্যাশ এইট কিউ ফোর হানড্রেড মডেলের বিমানটি। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। রানওয়ে থেকে ছিটকে বিমানটি পাশের খালি মাঠে গিয়ে পড়ে। দুই ইঞ্জিনের বিমানটি ভেঙে কয়েক টুকরো হয়ে পড়ে। এ ঘটনা ৫১ জন নিহত হন। এদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক।