শাওন হত্যায় ছাত্রলীগের ৩ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, লাশ তোলার নির্দেশ
ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আশফাক আল রাফী শাওনকে হত্যার অভিযোগে সংগঠনের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা শাওনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিলেন। তাঁরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জয় দত্ত, ছাত্রলীগ কর্মী পিচ্চি আরিফ ও হিমেল।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন ময়মনসিংহের এক নম্বর আমলি আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। তখন পুলিশ তাঁদের আটক করে জামিন বাতিলের আবেদন করে। এরপর তাঁদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠান আদালত।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুল ইসলাম এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। আগামী ১৮ মার্চ রিমান্ডের শুনানির তারিখ ধার্য করে আদালত শাওনের মরদেহ তোলার আদেশ দিয়েছেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে শহরের জেলা পরিষদ অফিসের সামনে শাওন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন তাঁকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৮ মার্চ দুপুরে ওই হাসপাতালেই মারা যান শাওন।
শাওন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ২৬ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তিনজনকে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ না থাকায় ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে চালান করা হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্ত হন তাঁরা। পরে কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হয়েছেন এসআই পলাশ।