রাষ্ট্রীয় শোক পালিত, আগামীকাল দোয়া ও প্রার্থনা
নেপালে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের স্মরণে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল শুক্রবার দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপাসনালয়ে দোয়া ও প্রার্থনার কর্মসূচি পালন করা হবে।
গত সোমবার কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি বিমান। দুর্ঘটনায় ওই বিমানের ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৫১ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, আজ সকাল থেকে সারা দেশে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ভবনে এবং বিদেশে বাংলাদেশের সব মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে জাতীয় শোক পালন করা হয়। পাশাপাশি কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়।
দুর্ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সিঙ্গাপুর সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন এবং গতকাল বুধবার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে করে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নেন।
রাষ্ট্রীয় শোক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবন ও উপাচার্য ভবনসহ যেসব ভবনগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং সেসব স্থানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
বিমান দুর্ঘটনায় সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালসহ নিহতদের স্মরণে শোকর্যালি করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ডিআরইউর সামনে থেকে এই শোকর্যালিটি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। পরে সংগঠনের সদস্যরা কালো ব্যাজ ধারণ করে। কর্মসূচির শুরুতে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।