বাগেরহাটে মাজার জিয়ারতে গিয়ে চার রোহিঙ্গা আটক
বাগেরহাট শহর থেকে চার রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা এক বাংলাদেশিকেও আটক করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বাগেরহাট শহরের রাহাতের মোড় থেকে ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আটক চার রোহিঙ্গা হলো সোনা আলী (৬৫) ও তাঁর মেয়ে রাশিদা, মিনারা ও বেবী। ওই তিন নারীর বয়স ১৫ থেকে ১৮। এদের বাড়ি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে। এ ছাড়া আটক বাংলাদেশির নাম মো. ইলিয়াস। তাঁর বাড়ি কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায়। গতকাল বুধবার মো. ইলিয়াসের সঙ্গে বাগেরহাটে আসেন রোহিঙ্গা নাগরিকরা।
আটক মো. ইলিয়াস জানান, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কক্সবাজারে আসেন ওই চারজন। সেখানে কক্সবাজারের টেকনাফের লেদামেকাশি ফটক্যাম্পে আশ্রয় নেন তাঁরা। সেখানে তাঁদের সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয় হয়। দুদিন আগে সোনা আলী ও তাঁর মেয়ে রাশিদা এবং বাকি দুজন বাংলাদেশ ঘুরে দেখতে চায়। এরপর তাদের নিয়ে বাগেরহাটের খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার দেখতে আসেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মাজার দেখে শহরের একটি হোটেলে রাতে থাকেন তাঁরা। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ তাঁদের আটক করে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, বাগেরহাট শহরের রাহাতের মোড়ে ঘোরাঘুরির সময় ওই পাঁচজনকে আটক করা হয়। পরে তাঁদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করেন। এ সময় তাঁদের সঙ্গে থাকা এক বাংলাদেশিকেও আটক করা হয়। তিনি চার রোহিঙ্গার দোভাষী হিসেবে ছিলেন বলে দাবি করেন ওসি।
আটক ওই চার রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের টেকনাফ ক্যাম্পে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও ওসি জানান।