আবারও খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায়ে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মানহানির মামলায় আবারও গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীবের আদালতে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী এই আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে আবেদনটি আমলে না নিয়ে বাদীকে ফেরত দিয়েছেন।
এ বি সিদ্দিকী সাংবাদিকদের জানান, এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারিও খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে সেদিনও আদালত আবেদনটি আমলে না নিয়ে ফেরত দেন। সে কারণে আজ আবারও আবেদন করেছিলেন তিনি।
মানহানির অভিযোগ এনে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকীর দায়ের করা একটি মামলায় গত বছরের ১২ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবীর আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর ৭ নভেম্বর সিপাহি বিপ্লবের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব দখল করেন। জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন।
১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে এলে জিয়াউর রহমান তাঁকে হুমকি ও অবরুদ্ধ করে রাখেন। এতে জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশ, স্বাধীনতার ইতিহাস হুমকিযোগ্য ও মানহানিকর অপরাধ করায় তাঁকে মামলায় মরণোত্তর আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জোট করে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার সম্মান লঙ্ঘন করেছেন।
এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পাঁচ বছরের সাজা নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া। একই মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এর পরে গত ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন স্থগিত চেয়ে ১৩ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক আবেদন করে। এরপর আজ সে জামিন আগামী রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।