তদন্তে অংশ নিচ্ছে বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনা তদন্তে সাহায্য করার জন্য নেপালে দুজন কর্মকর্তা পাঠিয়েছে কানাডার বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোমবারডিয়ার। দেশটির সরকারের গঠন করা তদন্ত কমিশনকে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশও।
গত সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের একটি বিমান। ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫০ জন নিহত হয়েছে। ওই বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে কানাডার বোমবারডিয়ার। বিমানটির মডেল হচ্ছে ড্যাশ এইট কিউ ফোর হানড্রেড।
নেপালের গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, দুর্ঘটনার দুদিনের মাথায় নিজেদের দুই কর্মকর্তা পাঠিয়েছে বোমবারডিয়ার। তাঁরা এরইমধ্যে নেপালে পৌঁছেছেন।
প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র নাথাইল সিফেনগেট জানিয়েছেন, ওই দুই কর্মকর্তা তদন্তের বিষয়ে নেপাল সরকারের গঠন করা কমিটিকে সাহায্য করবে।
এরইমধ্যে বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল নেপালে অবস্থান করছেন। তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও আছেন। নেপালের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সুরেশ আচার্য জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও বোমবারডিয়ারের প্রতিনিধিদল নেপাল সরকারের গঠন করা তদন্ত কমিটিকে সাহায্য করবে।
বোমবারডিয়ারের একটি বিমান ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বিধ্বস্ত হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি বাফেলো নায়াগ্রা বিমানবন্দরের কাছে একটি বাড়ির ওপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানে থাকা ৪৯ জনই নিহত হন।
সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে ইউএস বাংলার ড্যাশ এইট কিউ ফোর হানড্রেড মডেলের এই বিমানটি। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ে থেকে ছিটকে বিমানটি পাশের খালি মাঠে গিয়ে পড়ে। দুই ইঞ্জিনের বিমানটি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে পড়ে। বিক্ষিপ্ত অংশগুলোতে লাগা আগুনের কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা বিমানবন্দর।