ফুঁ দিয়ে কাগজে আগুন, ধরা পড়লেন ‘ভণ্ড বাবা’
কালো পোশাক পরে ঘুরে বেড়ান আবদুল ওয়াহিদ। কথা বলেন না। বাড়িতে বাড়িতে টাকা চেয়ে বেড়ান ইশারায়। পছন্দসই অঙ্কের টাকা না পেলে নানা রকম ভেলকি দেখিয়ে ঘাবড়ে দেন লোকজনকে।
এমনই এক ভেলকি দেখাতে গিয়ে আজ মঙ্গলবার এক আইনজীবীর পাল্লায় পড়েন এই ‘ভণ্ড বাবা’। সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকটেরচর ইউনিয়নের শোনপচা নামক এক গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন মিলে পুলিশে ধরিয়ে দেয় তাঁকে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রফিকুল ইসলাম (২৭) বলেন, ‘আমি ঘরে ছিলাম। বাইরে বেরিয়ে দেখি কালো পোশাক পরিহিত একজন লোক কথা বলেন না। আমার পরিবারের কাছে ইশারা করে টাকা চাইছেন। তখন তাঁকে পাঁচ টাকা দিলে তিনি তা নেন না। এরপর হঠাৎ তাঁর হাতে থাকা একটি কাগজে ফুঁ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। কয়েকদিন আগে আমার বন্ধু মিজানের বাড়িতে তিনি একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। তাই আমি সহজেই বুঝি এই সেই প্রতারক। তখন আমি স্থানীয় লোকজন ডেকে তাঁকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেই।’
এ সময় তাঁর কাছে থাকা আজমির শরিফের খাদেমের সিলযুক্ত একটি সনদে শামসুল হক পাগল নাম দেখতে পান বলেও জানান রফিকুল ইসলাম।
আবদুল ওয়াহিদের কাছ থেকে পাওয়া সনদ,তাবিজসহ অন্যান্য জিনিস। ছবি : এনটিভি
প্রথমে কথা না বললেও পরে কথা বলতে শুরু করেন শামসুল হক। জানান, তাঁর নাম আবদুল ওয়াহিদ (৫৫)। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ধলার সিকান্দারনগর গ্রামে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই ) আবুল কালাম। পুলিশের হাতে পড়ে তিনি বলেন, ‘স্যার আমি পেটের দায়ে ধান্দাবাজি করি। স্যার, আমারে মাফ করে দেন।’
পরে তাঁকে সদরপুর থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয় বলেও জানান এই কর্মকর্তা।