নারী দিবস
আমাকে আবারও এভারেস্টে যেতে হবে : নিশাত
নিশাত মজুমদার। প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১২ সালের ১৯ মে বিশ্বের সর্বোচ্চ এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করেন তিনি। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। আজ বিশ্ব নারী দিবসে নিজের জীবনের সফলতার গল্প ও অন্যান্য আরো অনেক বিষয় নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন নিশাত। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন নাইস নূর।
এনটিভি অনলাইন : আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ। নারী দিবসের গুরুত্ব আপনার কাছে কতখানি?
নিশাত মজুমদার : আমি যখন ছোট ছিলাম তখন টম বয়ের মতো ছিলাম। ছেলে ও মেয়ের পার্থক্য আমি বুঝতে চাইতাম না। ছোটবেলা থেকেই হয় তো আমি ফেমিনিস্ট ছিলাম। কৈশোরে আমি ভাবতাম, ‘আমি তো আট দশজন মানুষের মত একজন। আমার জন্য কেন আলাদা দিবস থাকবে?’
বড় হওয়ার পর আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছে। এখন আমার কাছে মনে হয়, নারী দিবসের প্রয়োজন রয়েছে। এখনও অনেক নারী ঘুমিয়ে আছে। তাঁদেরকে ঝাঁকি দিয়ে হলেও জাগাতে হবে। এই ঝাঁকুনির জন্য হলেও নারী দিবসের দরকার আছে। অনেক নারী অনেক সময় বুঝতে পারে না সে যে কাজটা করছে সেটা হয়ত সঠিক নয় কিংবা সম্মানজনক নয়। এই বিষয়টা বুঝাতেও নারী দিবসের দরকার আছে।
যারা ফেমিনিস্ট তাদের অনেক বাজে কথা শুনতে হয়। কিন্তু আমরা আমাদের সম্মানটা চাই। শুধু নারী নয় প্রত্যেকটা মানুষকে যথাযথ সম্মান দেওয়া প্রয়োজন। আজকে যারা সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও মানুষ আছে তাদের অধিকারের বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
এনটিভি অনলাইন : আপনার কাছে নারীবাদের সংজ্ঞা কী?
নিশাত মজুমদার : মানুষ ও মানবতা এর বাইরে আমি আলাদা করে কিছু চিন্তা করতে পারি না। ফেমিনিজম এটারই একটা অংশ। যেকোনো বিষয়ের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ দরকার হয়। আমাদের যখন চোখে সমস্যা হয় তখন আমরা চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যাই। নারীদের যে সমস্যাগুলো এটা নিয়েও অনেকে কাজ করতে পারে। সেটা নারী কিংবা পুরুষও করতে পারে। যে করবে সেই মূলত ফেমিনিস্ট। এটাই আমি মনে করি।
এনটিভি অনলাইন : আমাদের সমাজে কর্মক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সমানভাবে কি গুরুত্ব পাচ্ছেন? আপনার কী মনে হয়?
নিশাত মজুমদার : এটা খুব চ্যালেঞ্জিং। আমি আমার নিজের জায়গায় দেখেছি আমার এক পুরুষ সহকর্মী যখন একজন গ্রাহকের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা কথাটা একভাবে নেয়। অন্যদিকে, আমি যখন একই কথা বলি সেটাকে অন্যভাবে নেয়। আমি কর্মক্ষেত্রে একটা চেয়ারে বসার আগে জানতাম না যে নারীদের কর্মক্ষেত্রে কতটা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। হয়তো বা আমি শক্ত হয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলছি- এই শক্তটা কেউ নিতে পারে না। তারা হয়তো ভাবে আমি একটা মেয়ে, আমি কেন জরালো ভাবে কথা বলব? কিন্তু তারা তখন আমাকে কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচনা করে না। তাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন দরকার। আমার মতো একই আচরণ যখন একজন পুরুষ সহকর্মী করে তখন তার সাথে কেউ অশোভন আচরণ করে না। আমার কথা অনেক সময় মানতে চায় না অনেকে। পেছনে হয়তো বাজে মন্তব্য করে। কিন্তু কেন এটা হবে? একটা চেয়ারের দায়িত্ব পেলে তাকে জেন্ডার ভেদে চিন্তা করা ঠিক নয়। যেখানে একজন নারী তার সাহস ও ব্যক্তিত্ব দিয়ে কাজ করে এবং এই কাজকে যখন ছোট করে দেখা হয়- এটা সত্যিই দুঃখজনক। সমাজের প্রতিনিধি হয়ে আমরা ছোট হয়ে যাই। আমাদের জায়গাটার পরিবর্তন আনতে হবে। তা না হলে কিছুই বদলাবে না।
আজকে যে শিশু ধর্ষণ হচ্ছে তার একটাই কারণ তাকে আমরা নারী হিসেবে দেখছি। মানুষ হিসেবে দেখছি না। একজন শিশু জন্মের পর তার লিঙ্গভিত্তিক পরিচয় তৈরি হচ্ছে।
ভারতের অনেক জায়গায় মেয়ে শিশুর ভ্রূণ হত্যা করা হচ্ছে। এই জায়গার পরিবর্তন না হলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব না।
এনটিভি অনলাইন : সমাজের পরির্বতন আমরা কীভাবে আনতে পারি বলে আপনি ভাবেন?
নিশাত মজুমদার : আমাদের শিশুদের নিয়ে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। একটা শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যতের কর্ণধার। প্রাথমিক শিক্ষা খুব ভালো ভাবে একটা শিশুর হওয়া দরকার।আমাদের পাঠ্যপুস্তকে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার কি দেওয়া হয়েছে? হয় নাই। ‘ও’ তে ‘ওড়না’ যুক্ত করা হয়েছে।
গার্হস্থ্য অর্থনীতি বইতে বলা হয়েছে, ‘তুমি মেয়ে হিসেবে ঘরের মধ্যে একা থাকবে না।’ তার মানে হলো, শিশুর মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বোধটা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। শিশুটাও কিন্তু তার শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করছে, ‘বাসায় একা থাকব না, তাহলে আমি কার সঙ্গে থাকব? যখন আমাকে একা থাকতে হবে তখন আমি কীভাবে থাকব?’ এই যে হতাশা। এই যে বিষণ্ণতা। আমাদের এসব কাটিয়ে উঠতে হবে।
পাঠ্যপুস্তকে প্রতিটা বিষয় সুনির্দিষ্ট হতে হবে। কোনো বৈষম্য রাখা যাবে না। আমরা কি সেটা সব সময় করতে পেরেছি? পারিনি। এই জায়গাগুলোতে আমাদের বেশি কাজ করা জরুরি।
নারী ও পুরুষ সবাই আমরা মানুষ। প্রথমে আমাদের সম্মান তৈরি করে নিতে হবে। ঘরে যদি কোনো শিশু দেখে তার মাকে অপমান করা হচ্ছে, তার মায়ের কাজকে অসম্মান করা হচ্ছে। তাহলে সেই ছেলে শিশু বড় হয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে একই আচরণ করবে।
এনটিভি অনলাইন : আমাদের দেশে সাহিত্য, চলচ্চিত্র, খেলাধূলায় ও শিল্পের সব শাখায় নারীরা কাজ করছে। নারীরা কি আগের থেকে এগিয়ে যাচ্ছে? দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারছে? আপনার কী মনে হয়?
নিশাত মজুমদার : আমার কাছে কখনো কখনো মনে হয়, ছেলেদের থেকে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। এটা হয় তো ছেলেরা খারাপ ভাবে নিতে পারে (হাসি)। পশ্চিমা দেশের মেয়েরা অনেক এগিয়ে আছে। তাদের সংগ্রামটা এক ধরনের আর দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের সংগ্রামটা ভিন্ন ধরনের।
দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের একটাই প্রধান সমস্যা, তা হলো তাদের যথাযথ সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। পশ্চিমা দেশে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে মানুষ হিসেবে মূল্যায়ণ করছে।
অন্যদিকে, এখনও আফ্রিকায় নারীদের খতনা হয়। একবিংশ শতাব্দীতেও এমন অস্বাস্থ্যকর জিনিস হচ্ছে। একেকটা জায়গার সমস্যা একেক ধরনের। তবে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের পথচলা একটু বেশি কঠিন।
এনটিভি অনলাইন : এবার অন্য প্রসঙ্গে কথা বলি, যখন আপনি এভারেস্টের চূড়ায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তখন কি আপনার কোনো ফিমেল আইকন ছিল?
নিশাত মজুমদার : আমাদের দেশে এটা নতুন ছিল। জাপানের জুনকো তাবেই বিশ্বের প্রথম নারী এভারেস্ট জয়ী ছিলেন। তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম।
এনটিভি অনলাইন : এভারেস্ট জয় করার পর কেমন অনুভূতি হয়েছিল?
নিশাত মজুমদার : আমি যখন এভারেস্ট চূড়ায় যাওয়ার জন্য রওনা দেই সেই সময় আরো কিছু বাংলাদেশের মেয়ে আরোহীও গিয়েছিল। কিন্তু তারা কোথায় ছিল আমি জানতাম না। আমাদের কাছে পর্বত আরোহণ খেলার মতো। আমি ভেবেছি পর্বতে যাব এবং সাধবানে ফিরে আসব। আমার মাথায় তখন অন্য কিছু ছিল না। যখন আমি পর্বতের চূড়া থেকে ফিরে আসি তখন কাঠমান্ডুতে অনেক সাংবাদিক আমার সঙ্গে কথা বলেন কিন্তু তখনো আমি বুঝতে পারিনি আমি কিছু করেছি। আসলে তখন আমি বেশিই অপরিণত ছিলাম। অনুভূতি আমাকে নাড়া দিয়েছে যখন আমি দেশের মাটিতে পা রাখি। এত মানুষ আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে যা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করে গেছে।
খুশিতে অনেকে আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছে। আমাকে অনেকে এসে বলেছে, আপনাকে একটু ছুঁয়ে দেখতে পারি? আমি কখনো ভাবিনি আমার জীবনে পরির্বতন আসবে। এভারেস্ট জয় করা আমরা জীবনের একটা বড় পরিবর্তন।
পাহাড়কে আমরা যেকোনো প্রতিবন্ধকতার প্রতীক হিসেবে দেখি। যখন একটা মেয়ে পাহাড়কে চ্যালেঞ্জ করে এবং সেটা জয় করে তখন সেই মেয়ের মানসিকতারও পরিবর্তন হয়। আমাদের সমাজে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে সেগুলোও আমরা চেষ্টা করলে জয় করতে পারব। এই আত্মবিশ্বাস প্রতিটা মেয়ের মধ্যেই আসতে হবে।
এনটিভি অনলাইন : শুনেছি, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী আপনাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তাঁর সম্পর্কে জানতে চাই।
নিশাত মজুমদার : আমাদের কাছের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী ছিলেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী। ২০০৩ সাল থেকে আমি পাহাড়ে যাই। দেশের অনেক পাহাড়ের চূড়ায় আমি উঠেছি। ফেরদৌসী আপা তখন অনেক উৎসাহ দিতেন। এভারেস্ট জয় করার পরে ফেরদৌসী আপা জড়িয়ে ধরে আমাকে অনেক আদর করেছিলেন। মানুষকে খুব সহজে আপন করে নিতে পারেন ফেরদৌসী আপা। এটা তাঁর অনেক দুর্লভ গুণ।
এনটিভি অনলাইন : পাহাড়ে উঠার আগ্রহ কবে থেকে তৈরি হয়?
নিশাত মজুমদার : অ্যাডভেঞ্চারের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয়েছিল আমার বই পড়ে। ছোটবেলায় জুলভার্নের ‘৮০ দিনে বিশ্ব ভ্রমণ’ বা ‘চাঁদের পাহাড়’ এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চার বই পড়ে আমার রক্তে কাঁপন তৈরি হতো। কি জানি একটা উত্তেজনা তৈরি হতো। প্রথম যখন আমি পাহাড়ে যাই তখন আমাদের মধ্য থেকে একজন বলেছিলেন ‘তুমি অনেক ভালো করেছ। ভবিষ্যতে তুমি আরো বড় পাহাড় জয় করতে পারবে।’এই থেকে বড় পাহাড়ে উঠার স্বপ্ন আমার মধ্যে তৈরি হয়।
এনটিভি অনলাইন : পরিবারের সমর্থন কতখানি পেয়েছিলেন?
নিশাত মজুমদার : পরিবার আমাকে ভীষণ ভাবে সাহায্য করেছে।মানুষের শক্তি ও সাহস আসে পরিবার থেকে। আমি অনেক ভাগ্যবান যে পরিবার থেকে সব ধরনের সমর্থন আমি পেয়েছিলাম।
বাংলাদেশে বাল্য বিবাহের হার কমে গিয়েছিল। এখন কিন্তু আবার বেড়ে গিয়েছে। যে সমস্যা আমরা জয় করেছি সেই সমস্যার মুখোমুখি যদি আবারও হতে হয় তাহলে এটা দুঃখজনক। আমার শ্বশুরবাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে আমি বাল্যবিবাহ অনেক দেখেছি।
বাল্যবিবাহ কখন হয়, যখন বাবা মনে করে সামাজিক ভাবে তার মেয়ে নিরাপদ নয়। অবিবাহিত অবস্থায় তার সন্তানকে সে নিরাপদ দিতে পারবে না। আমার যদি বাল্যবিবাহ হতো তাহলে কি আমি এত দূর আসতে পারতাম?
এনটিভি অনলাইন : একজন নিশাত মজুমদার হতে কার অবদান সব থেকে বেশি?
নিশাত মজুমদার : আমার মা আশুরা মজুমদার। মা আমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। মা অল্পশিক্ষিত ছিলেন। যখন তিনি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছেন তখন তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। আমরা চার ভাইবোন। আমার বয়স যখন পাঁচ বছর আর আমার ভাইয়ের দুই বছর, তখন আমার বাবার একটা দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনায় বাবা পঙ্গু হয়ে যান। আমার বাবার অনেক টাকা পয়সা ছিল। কিন্তু এক রাতে আমাদের রাম্তায় নামতে হয়েছিল। আমার বাবার বিজনেস পার্টনার তাঁকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন।
যা হোক আম্মু অনেক সংগ্রাম করে আমাদের বড় করেছেন। আম্মু বলতেন, ‘আমি পড়াশোনা করলে চাকরি করতে পেতাম। কিন্তু সেটা হয়নি। তোমার ভাইরা রিকশা চালিয়েও খেতে পারবে। কিন্তু তোমাকে বড় হতে হবে। সম্মানজনক কিছু করতে হবে।’
মায়ের অনুপ্রেরণা সারা জীবন আমাকে ভালো কাজ করতে তাড়া করেছে। আমি যখন কেওক্রাডাং ২০০৩ সালে যাই তখনই আমার ঘর থেকে একা বের হওয়া। আমার বাবা ও মা কিন্তু আমাকে না করেননি। প্রত্যেক পরিবারের উচিত সন্তানদের ভালো কাজে হ্যাঁ বলা এবং সন্তান কীভাবে সফল হবে তাকে উৎসাহিত করতে হবে।
এনটিভি অনলাইন : আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
নিশাত মজুমদার : মানুষের জন্য অনেক কাজ করতে চাই। সমাজসেবামূলক অনেক কাজ করার পরিকল্পনা আমার রয়েছে।
আর আমার খুব দুর্ভাগ্য, যখন আমি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছিলাম তখন চোখে কিছুই দেখতে পারছিলাম না। তখন আমার খুব কান্না পেয়েছিল। আমি সৃষ্টিকর্তাকে মনে মনে বলেছিলাম, ‘তুমি আমাকে এত দূরে নিয়ে এলে কিন্তু এটা দেখার সুযোগ আমাকে করে দিলে না।’
আসলে আট হাজার মিটারের উপরে গেলে শরীর কীভাবে কাজ করবে এটা কেউ বলতে পারে না। এভারেস্টে রাতে তামপাত্রা কম থাকে কিন্তু ভোরের আলো সাদা বরফে প্রতিফলিত হয়। এটা চোখে লাগলে মানুষ অন্ধের মতো হয়ে যায়। আমি সবকিছু ঝাপসা দেখেছিলাম।
তখনই আমার মনে হয়েছিল, এভারেস্টের চূড়া দেখার জন্য আবারও কি আমার আসতে হবে? আমার মধ্যে আকুলতা এখনো আছে যে, আমাকে আবারও এভেরেস্টে যেতে হবে। এবার গেলে ভিন্নভাবে যেতে চাই। চারপাশের আরো ১০ কিংবা ১২ জনকে নিয়ে যেতে চাই। কয়েক বছর ধরে আমি চেষ্টা করছি এভারেস্টে যাওয়ার জন্য। দেখি কী হয়!